( & ) যাহার করুণা এবং অতুগত ব্যক্তির প্রতি ৰিনি অতিশীঘ্ৰ ক্ষমাশীল, সেই শ্ৰীকৃষ্ণচরণ আমাকে স্বপদীমূত-দীনে অনুমতি প্রদান করুন " শ্ৰীকষ্ণচরণ চক্রবৰ্ত্তীর উপযুক্ত পুত্র স্ত্রীরাধারমণ চক্রবর্তী। ইনি শাস্ত্রজ্ঞানে প্রবীণ, পরমভক্ত এবং অতিশয় উদর-স্ব ভাব ছিলেন। ইনি সৈদাবাদে বাস করিয়া উপযুক্ত শিষ্যগণকে শ্ৰীভাগবত্তাদি ভক্তি-শান্ত্রের অধ্যাপনা করাইতেন। বুদ্ধবয়সে ই হার পিতা শ্ৰীকৃষ্ণচরণ চক্ৰবৰ্ত্তী ঠাকুর শ্ৰীধামবুন্দাবন আশ্রয় করিলে ইনিই শ্ৰীমদনমোনের ট্রোতার গ্রহণ করেন। ঐল বিশ্বনাথ চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয় ঐ ভাগবত অধ্যয়নকালে ইহারই গুণে বিমোহিত হইয়। ইহারই ক্ৰীপদাপ্রয় করেন । কেহ কেহ শ্রীরামকৃষ্ণ আচাৰ্য্যকে, কেহ বা শ্ৰীকৃষ্ণচরণ চক্রবর্তী মহাশয়কে গুরু বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন ; কিন্তু চক্রবর্তী মহাশয় "স্তবায়ুত-লহরী” নামক গ্রন্থে “ঐগুরুচরণ স্মরণাষ্টকম" স্তবে শ্রীরাধারমণ চক্রবর্তীকেই স্বীয় গুরুনামে অভিহিত করিয়া স্তব করিয়াছেন । যথা— “শ্রীরাধারমণং মুদা গুরুত্বরং বন্ধে লিপত্যাবনেী।” অর্থাৎ “ঐরাধারমণ নামক গুরুত্বরকে আমি ভূমিতে নিপতিত হইয়া হর্ষভরে বন্দনা করিতেছি।” অধ্যয়ন ও শাস্ত্র প্রচার । প্রভাগধতাদি ভক্তি-শাস্ত্রের অধ্যয়ন শেষ করিয়া ইনি সংসারের অনিত্যন্ত দর্শন করিয়া গৃহাশ্রমে প্রবেশ না করিয়া ব্রহ্মচৰ্য্য অবলম্বন করিয়া গুরুকুলে বাস করিয়া ভক্তি-শাস্ত্রের প্রচার ও টীকাদি রচনা করিতে আরম্ভ করেন । গৌড়দেশে সংস্কৃত বিস্তার আলোচনা ক্রমেই হ্রাস হইয়া আসিতেছিল এবং তৎকালে সাধারণ শ্রেণীর বৈষ্ণবগণ শ্ৰীল গোস্বামিপাদগণের প্রকাশিত সিদ্ধান্তগ্রন্থের আলোচনার সমর্থ হইতেছিলেন না। কিন্তু গৌড়ীয়-কুলচূড়ামণি শ্ৰীল কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামীর শ্রীচৈতন্ত-চরিতামৃত গ্রন্থে নিখিল ভক্তিশাস্ত্রসিদ্ধাস্তের সার সংগৃহীত হইয়াছিল। মহীদয়ালু শ্ৰীল, নরোত্তমঠাকুর মহাশয় বঙ্গভাষায় প্রার্থনা ও প্রেমভক্তি-চন্দ্রিক গ্রন্থ প্রচার করিয়া বৈষ্ণবগণের সাধনবয় প্রদর্শন করিয়াছিলেন। শ্ৰীল বিশ্বনাথ চক্রবর্তী ঠাকুরও প্রচৈতন্যচরিতামৃত-গ্রন্থ ও প্রেমভক্তি-চন্ত্ৰিকা য়াহাতে অপসিদ্ধান্ত-দুষ্ট না হয়, ছন্ত ঐ গ্রন্থের টীকা রচনা করেন। র্যাহারা শ্ৰীহরি-ভজনে একান্ত আগ্রহশীল, অথচ
পাতা:শ্রীমাধুর্য্য-কাদম্বিনী.djvu/৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।