৪র্থ বৃষ্টি: ] মাধুর্য্যকাদম্বিনী। © স্বভক্তহিতকারিণী তদীয়দৈস্যোৎকণ্ঠাদিবৰ্দ্ধনচতুরেণ ভগবতৈব দুঃখস্য দীয়মানত্বাৎ কৰ্ম্মফলত্বাভাবেন ন প্রারব্ধত্বমিত্যাহু: ॥৫ ইতি মাধুৰ্য্যকাদম্বিন্যাং সৰ্ব্বগ্রহপ্রশমিনী নাম তৃতীয়াস্তবৃষ্টি ॥৩ চতুর্থমুতবৃষ্টি । অর্থ পুৰ্ব্বং যা অনিষ্ঠিতা নিষ্ঠিতেতি দ্বিবিধোক্তা ভজনক্রিয়া ভস্তাঃ প্রথম ষড়বিধা লক্ষিতা। ততো দ্বিতীয়ামলক্ষয়িত্ত্বৈবানর্থনিবৃত্তি; প্রক্রান্ত ৷ যদুক্তম— শৃঙ্খতাং স্বকথা কৃষ্ণঃ পুণ্যশ্রবণ-কীৰ্ত্তন । হৃদ্যন্তঃস্থে হভদ্রাণি বিধুনোতি স্বহৃৎ সভ্যতাম ॥ আমি ক্রমশঃ তাহীর ধন হরণ করি, ধন হরণ করিলে এই দুঃখ-দুঃখিত অধন ব্যক্তিকে তাহার আত্মীয়গণ পরিত্যাগ করিয়া থাকে।” ( এইরূপ অবস্থায় সে নিরাশ্রয় হইয়া শ্ৰীভগবানকেই আপনার একমাত্র আশ্রয় বলিয়া মনে করিয়া থাকে ) অন্যত্রও শ্ৰীভগবান বলিয়াছেন “নিধনস্বরূপ মহারোগ আমারই আছগ্রহের লক্ষণ।” ফলতঃ স্বভক্তের মঙ্গলবিধান-কর্তা ইভগবান ভক্তের দৈন্য ও উৎকণ্ঠাদির বন্ধনের নিমিত্ত তাছাকে স্বেচ্ছাছুসারে দুঃখ প্রদান করিয়া থাকেন ; সুতরাং ভক্তের কৰ্ম্মফলের অভাব বশতঃ এ সমস্ত দুঃখাদিকে তাহার প্রারন্ধের ফল বলা যায় ন! ॥ ৫ ॥. ইতি মহামহোপাধ্যায় ঐবিশ্বনাথ চক্রবর্তি-বিরচিত মাধুৰ্য্য-কাদম্বিনী গ্রন্থে সৰ্ব্বগ্রহপ্রশমিনী নামক তৃতীয়াস্তবৃষ্টি ॥ ৩ ॥ চতুর্থ্যস্বতবৃষ্টি । পূৰ্ব্বে যে অনিষ্টিতা ও নিষ্টিতা এই দুই প্রকার ভজন-ক্রিয়ার কথা বলা হইয়াছে, তাহার প্রথমটার অর্থাৎ অনিষ্টিতা ভজন-ক্রিয়ার ছয়ট বিভাগ প্রদশিক্ত হইয়াছে। অনন্তর দ্বিতীয়টার লক্ষণাদির নির্দেশ না করিয়াই অনর্থনিবৃত্তির কথা আলোচিত হইয়াছে। কারণ, শ্ৰীমদ্ভাগবতে কথিত হইয়াছে—“যাহার কথার শ্রবণ ও কীৰ্ত্তনের দ্বারা ত্রিজগৎ পধিত্র হয়, সেই সাধুগণের মুহৃং ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ স্বকথা-শ্রবণকারী ব্যক্তিগণের হৃদয়ের অন্তরস্থ হইয়া তাহাদিগের সমস্তু
পাতা:শ্রীমাধুর্য্য-কাদম্বিনী.djvu/৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।