৬৬ মাধুর্য্যকাদম্বিনী। [ ৭মী বৃষ্টি: । তং সাক্ষাৎ প্রাপ্তবদিব চেতে হৃষ্যেৎ তন্মাধুৰ্য্যাস্বাদসম্প্যত্ত্যা মাদ্যেৎ তদৈব তত্তিরোভাবে বিষীদেং গ্লায়েদিত্যেবং সঞ্চারিভাপৈরাত্মান মলস্থূর্বদিৰ শোভেত। বুদ্ধিরপতন্তমেবার্থমবধারয়ন্তী জাগ্রৎস্বপ্নমুযুপ্তিযু তদীয়স্কৃতিবত্মন্তেব পান্থত্বমধ্যবস্তেং । আহস্তা চ প্রাঙ্গামানে সেবোপযোগিনি সিদ্ধদেহে প্রবিশস্তীব সাধকশরীরং প্রয়ো জহাতীব বিরাজেত। মমতা চ তচরণারবিনামকরদ এব মধুকরীভবিতুমুপ ক্রমেতেতি । স চ ভক্ত: প্রাপ্তং মহারত্বং কৃপণ ইব জনেভ্যো ভাবং গোপয়ন্ত্রপি ক্ষান্তিবৈরাগ্যাদীনামাস্পদীভবন লসল্পলাটমোস্তধৰ্মং কথয়তীতি স্তায়েন তদ্বিজ্ঞসাধুগোষ্ঠ্যাং বিদিতো ভবেদন্তক্ৰ তু বিক্ষিপ্ত ইত্যুন্মত্ত ইতি সজ্জত ইতি জ্বল্প ক্ষ্যতাং গচ্ছেৎ ॥ ১ । যেন তাহ প্রাপ্ত হইয়াই রসনাকে চরিতার্থ বোধ করিয়া উল্লসিত হইয়া নিজের ওষ্ঠাধর লেহন করিতে আরম্ভ করেন। কখনও বা তাহার স্কৃত্তি হওয়ায় র্তাহাকে যেন সাক্ষাৎ প্রাপ্ত হইয় তাহার চিত্তে হর্ষের আবির্ভাব হয়। ফলতঃ তৎকালে, কখনও তিনি তদীয় মাধুৰ্য্যাম্বাদ-সম্পত্তিলাভে মত্ত হইয়া যান, আবার কখনও বা উহার তিরোভাবে বিষন্ন ও গ্লানিযুক্ত হন—এইরূপে সঞ্চারী ভাবের দ্বারা আত্মাকে অলঙ্কৃত করিয়া তখন তিনি শোভা পাইয়া থাকেন। তাহার বুদ্ধি অশ্বলিতভাবে এই একমাত্র উদ্দেশ্যকে ধারণ করিয়া জাগ্রত স্বপ্ন ও স্বষুপ্তি অবস্থায় শ্ৰীভগবানের স্মৃতিপথের পথিক হইয়া অবস্থান করে। --তখন তাহার অন্তস্ত (আমিত্ব অর্থাৎ জীবভাব ) অভাঙ্কিত সেবেীপযোগী সিদ্ধদেহে প্রবেশপূর্বক এই বৰ্ত্তমান সাধক-শরীর যেন প্রায়শ ত্যাগ করিয়াই অবস্থান করিয়া থাকে। র্তাহীর মমতা তখন তদীয় চরণারবিন-মকরনের , মধুকরী হইবার উপক্রম করে। এই অবস্থায় সেই ভক্ত মহারস্তু-প্রাপ্ত কৃপণের ন্যায় জনগণ হইতে ভাব গোপন করিলেও—উল্লসিত ললাট দর্শনে যেমন অন্তধর্ণনের কথা বলা যায়, সেইরূপ তিনি ক্ষান্তি-বৈরাগ্যাদির আস্পদীভূত হওয়ায় তদ্বিষয়ে জ্ঞানবান সাধুগোষ্ঠীর বিদিত হয়েন, কিন্তু অন্যত্র বিক্ষিপ্ত ও উন্মত্ত বলিয়া .বিবেচিত হইয়া তিনি সাধারণের দুর্ঘক্ষ্যত প্রাপ্ত হন। ১।
পাতা:শ্রীমাধুর্য্য-কাদম্বিনী.djvu/৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।