( & ) দেবের শ্ৰীমন্দির ধ্বংস করেন। শ্ৰীধামের পূজারিগণ পূৰ্ব্বাহুে সংবাদ পাইরা বৃন্দাবন, গোকুল, মহাবন, মথুরা প্রভৃতি স্থান হইতে শ্ৰীবিগ্রহগুলিকে স্থানান্তরিত করিয়া ফেলিলেন। বৃন্দাবন অন্ধকার করিয়া শ্ৰীগোপীনাথ, মদনমোহন, গোবিন্দ, রাধাবিনোদ, রাধাদামোদর প্রভৃতি চলিয়া গিয়াছিলেন ; মথুরা হইতে শ্ৰীকেশবদেবকে উদয়পুরে নাথদ্বারে রক্ষা করা হইল। যেস্থানে কল্পক্রমমূলে রত্নাগারসিংহাসনে শ্রীরাধাগোবিন্ধের অপ্রাকৃত শ্ৰীমূৰ্ত্তি শোভা পাইত, সেই শ্ৰীগোবিনদেবের অপূৰ্ব্ব-শোভাশালী শ্ৰীমন্দির ভগ্ন হইল। শ্ৰীবৃন্দাবন হইতে শ্ৰীগোবিন্দদেব, ঐগোপীনাথ, শ্ৰীমদনমোহন, শ্রীরাধাদামোদর, শ্রীরাধাবিনোদ ও শ্রীরাধামাধব প্রভৃতি গৌড়ীয় বৈষ্ণব-সম্প্রদায়ের ঐবিগ্রহগুলি জয়পুরের প্রথম জয়সিংহের জ্যেষ্ঠপুত্র শ্রীরামসিংহের আশ্রয়ে নীত হইলেন। জয়পুরে গমন করিয়া বাঙ্গালী সেবাইতগণই তদবধি এই সকল বিগ্রহের সেবা করিতে থাকেন। শ্ৰীবৃন্দাদেবী কাম্যবনে যাইয়া শ্ৰীবৃন্দাবন ত্যাগ করিতে সক্ষত না হওয়ায় তিনি সেইখনেই থাকিয় গেলেন। শ্ৰীবৃন্দাবনে গৌড়ীয় বৈষ্ণবগণের প্রভাবও ক্রমশঃ ক্ষুণ্ণ হইয়া আসিতেছিল। বিশ্বনাথ শ্ৰীবৃন্দাবনের এই অবস্থা দেখিয়া স্বীয় কৰ্ত্তব্য স্থির করিয়া লইলেন। তিনি বৃন্দাবনের লুপ্ত গৌরব পুনরুদ্ধারে কৃতসংকল্প হইলেন। এই সময়ে অসাধারণ প্রতিভাশালী শ্ৰীল বলদেব বিদ্যাভূষণ মহাশয় শ্ৰীবৃন্দাবনে আগমন করিয়া শ্ৰীল বিশ্বনাথ চক্রবর্তী মহাশয়ের কাৰ্য্যের সহয়তা করেন।* বলদেব ন্যায়শাস্ত্রে স্বপণ্ডিত ছিলেন । শ্রীল চক্রবর্তী মহাশয়ের আনুগত্য করিয়া ভক্তি-শাস্ত্রে সহজেই অধিকার লাভ করিলেন। ঐীল বিশ্বনাথ বলদেবের সহায়ে ব্রজমণ্ডলে অধ্যাপনাদি দ্বারা গোস্বামিশাস্ত্রের প্রচার আরম্ভ করেন। বৃন্দাবনধামে পুনরায় ভক্তিশাস্ত্রের অধ্যাপনা আরম্ভ হওয়ায় দলে দলে বিভক্ত ছাত্ৰগণ বৃন্দাবনে সমাগত হইতে লাগিল। বিশ্বনাথ পুনরায় একবার গৌড়মণ্ডলে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিয়াছিলেন । গৌড়দেশেও তাঁহার শিষ্য ছিল ।
- ঐবলদেব বিদ্যাভূষণ শ্ৰীল গমানন্দ ঠাকুরের পরিবারভুক্ত। প্রল শুiম্বানন্ধের শিষ্য ঐসিক মুরারি। ঐরসিক মুরারির পুত্র ঐরাধানন ও ঐরাধানদের পুত্র ঐল নয়নানন্দ ঐরসিক মুরারিরই শিষ্য। ঐনয়নানন্দের শিয় "বেদান্ত-স্তমস্তক" রচয়িতা প্রল রাধাদামোদর। জীবনদেব বিদ্যাভূষণ ইহারই মন্ত্রশিষ্ণু । * - - - ... • , ,