পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লহর } मषा-भ]ि । ১৪৫ নসিরাবাদ গড়ে বটে থানা চমৎকার । ত্রিশ জন সেনাপতি কার্য্যে সে থানার ॥ বিশালগড়ে মেহেরকুলে দুই থান আছে । পনর জন সেনাপতি তাহাতে রৈয়াছে ৷ বিশগাও বটে থান পাহাড় নিকট । সেনাপতি পাঁচ জন বড়ই বিকট ॥ সুসঙ্গ আর এক থানা পঞ্চাশ সেনাপতি । দশ হাজার সেন তথা করয়ে বসতি ॥” ত্রিপুর বংশাবলী । এই সকল থানা বা সেনানিবাস মহারাজ বিজয়মাণিক্য কর্তৃক স্থাপিত হইয়াছিল। এতদতিরিক্ত যে সকল দুর্গ ও সৈন্যাবাসের নাম পূর্বে উল্লেখ করা হইয়াছে, রাজমালায় তৎসমস্তের বিবরণ পাওয়া যায়। কোনও নূতন প্রদেশ জয় করা হইলে, সেই স্থানের অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখিবার নয়মিত এor নিমিত্ত এক একটী সেনানিবাস বা থানা সংস্থাপন করিয়া, বিশ্বস্ত শাসন প্রণালী ও পরাক্রান্ত সৈন্তাধ্যক্ষদিগকে সেই স্থানে রাখা হইত। এই সকল সেনাপতি থানাদার’ পদবী লাভ করিতেন ; নববিজিত প্রদেশের শাসন কাৰ্য্য ইহাদের দ্বারাই নির্ববাহিত হইত । সৈনিক বিভাগের ভোজ । পূর্বকালে কোন কোন সময়, বিশেষতঃ যুদ্ধ যাত্রার পূর্বে সৈন্যদিগকে বহরম নিপুরহনগর রাজ সরকার হইতে ভোজ দেওয়া হইত। মহারাজ ছেংথুম ফাএর প্রদত্ত ভোল। মহিষী, মহারাণী ত্রিপুরাসুন্দরী, গৌড়েশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্রার পূর্ব দিবস স্বীয় তত্ত্বাবধানে রন্ধনাদি করাইয়া সৈন্যদলকে বিরাট ভোজদ্বারা পরিতুষ্ট করিয়াছিলেন । 靜 মহারাজ ধন্যমাণিক্য সৈনিকদিগকে যে ভোজ দিয়াছিলেন, তাহা বিশেষভাবে asan.cs উল্লেখযোগ্য। সেই সঙ্গে জ্ঞাতি এবং ব্রাহ্মণদিগেরও ভোজনের এদত্ত ভোজ। ব্যবস্থা ছিল। রাজমালায় লিখিত আছে — “দ্বিজ জ্ঞাতি ভোজন করায় নৃপবর। আর খাওয়াইল সৈন্য সেনা বহুতর ॥” এই ভোজ ধন্য সাগরের তীরে হইয়াছিল এবং জাতি ও শ্রেণী অনুসারে স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র ভাবে রন্ধন ও ভোজনের ব্যবস্থা ছিল, এ কথাও রাজমালায়ই পাওয়া যায় ;– "সাগরের চারি পাড়ে বৈসায় নানাজাতি । রন্ধন ভোজন তথা যার যেই পংক্তি ॥”