পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

校磁创 রাজমলি । [बिऊँौव्र গোপীপ্রসাদ নারায়ণ –( ৬২ পৃঃ—২৩ প্যক্তি )। ইনি বিজয়মণিক্যের ও তৎপর অনন্তমণিক্যের সেনাপতি ছিলেন । ইহার কন্যাকে অনন্তমণিক্য বিবাহ করেন। রাজা অল্প বয়স্ক ছিলেন, শ্বশুর গোপীপ্রসাদই জামাতার পক্ষে রাজ কাৰ্য্য সম্পাদন করিতেন । কিয়ৎকাল পরে ইনি রাজ্য লাভের লালসায় জামাতাকে গোপনে হত্যা করিয়া উদয়মাণিক্য নাম গ্রহণ পূর্বক সিংহাসন অধিকার করেন । ইহার সময়ে রাজধানী রাঙ্গামাটর উদয়পুর’ নামকরণ হইয়াছে । গৌড়মল্লিক —( ২২ পৃঃ—২১ পংক্তি ) ৷ ইনি গৌড়েশ্বর হোসেন শাহের সেনাপতি ছিলেন । ধন্যমাণিক্যের শাসনকালে চট্টগ্রামের অধিকার মুসলমানগণের হস্ত হইতে কাড়িয়া লওয়ায়, হোসেনশাহ হাতপ্রদেশ পুনরুদ্ধার ও ত্রিপুর রাজ্য হস্তগত করিবার অভিপ্রয়ে এই সেনাপতিকে প্রেরণ করিয়াছিলেন । ত্রিপুর বাহিনী কৌশঃক্রমে ইহার অধিকাংশ সৈন্য গোমতীর জলে ডুবাইয়া বধ করায়, ইনি বিশেষ বিপন্নবস্থায় পলাযন করিতে বাধ্য হন । চন্দ্ৰসিংহ নারায়ণ –(৬৯ পূঃ-২২ পংক্তি )। ইনি উদয়মাণিক্যের সেনাপতি। পাঠান বাহিনীর সহিত চট্টগ্রামের যুদ্ধ প্রধান সেনাপতি রণাগণের সঙ্গে ইনিও ছিলেন । ইহার উপাধি ছিল 'চন্দ্রদপ’ । কি উপলক্ষে এই উপাধি লাভ করিয়াছিলেন, জানিবার উপায় নাই । ছামথমৃ খ। —( ৪ পৃঃ—২১ পংক্তি )। রাজমালায় ইহার নাম খাঁ ছামখুম লিখিত হইয়াছে । ইনি রিয়াং জাতীয় । ধৰ্ম্মমণিক্যের অন্যতম সেনাপতি ও অমাত্য ছিলেন । জয়মাণিক্য —(৭২ পৃঃ—২০ পংক্তি ) ৷ ইনি উদয়মাণিক্যের পুত্ৰ ; পিতার অভাবে ত্রিপুর সিংহাসনে সমরূঢ় হইয়াছিলেন । ইহার শাসনকালে, সেনাপতি রণাগণ (রঙ্গ নারায়ণ ) শাসনদণ্ড স্বহস্তে গ্রহণ করিয়া প্রবল পরাক্রান্ত হইয়া উঠেন। জয়মাণিক্য রাজবংশীয় নহেন । ই হার পিতা সেনাপতি ছিলেন, পরে অনন্তমাণিক্যকে হত্য করিয়া সিংহাসন অধিকার করেন। জয়মাণিক্য পিতার পরিত্যক্ত সিংহাসন অধিককাল ভোগ করিতে পারেন নাই । সেনাপতি অমর দেব (ইনি দেবমাণিক্যের পুত্র ) ইহাকে বধ করিয়া পৈতৃক সিংহাসন ভিন্নবংশীয় রাজার হস্ত হইতে উদ্ধার করিয়াছিলেন। ইনি ১৫৭৬—১৫৭৭ খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত দেড় বৎসর মাত্র রাজত্ব করিয়াছিলেন । জয় মহাদেবী –(৬৭ পৃঃ—২৪ পংক্তি)। অনন্তমণিক্যের মহিষী—নাম জয়াবতী। ইনি উদয়মাণিক্যের (সেনাপতি গোপীপ্রসাদের ) দুহিতা ছিলেম । পিতা কর্তৃক পতি নিহত হইবার পর, ইনি সহমরণের নিমিত্ত প্রস্তুত হইয়াছিলেন, পিতার বাধা অতিক্রম করিয়া সেই সঙ্কল্প পুর্ণ করিতে পারেন নাই। এই তেজস্বিনী রমণী পিতার প্রতি বিরক্ত হইয়া, উহাকে অপদস্থ করিবার নিমিত্ত বলিয়াছিলেন, “তুমি