পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

देॐ ॐ প্লাজমালা । [ दिउँौब ছিলেন এবং ইহার বর্ণিত বিবরণ অবলম্বনে রাজমালা প্রথম লহর রচিত হইয়াছে। ইহারই প্ররোচনায়, সমরক্ষেত্রে ধৃত গৌড়েশ্বর দায়ুদ শাহের শ্বালক ও সেনাপতি মমারক খাকে চতুর্দশদেবতা সমক্ষে বলি প্রদান করা হইয়াছিল ; ইহা বিজয়মাণিক্যের শাসনকালের কথা। এই ঘটনার অল্পকাল পরেই প্রাচীন চন্তাই পরলোক প্রাপ্ত হওয়ায় মহারাজ বিজয় স্বপ্নাদিষ্ট হইয়া বিজয়দুল্লভ নারায়ণকে চন্তাই পদে বরণ করিয়াছিলেন । দুল্লভ নারায়ণ,—(৪• পৃঃ–১২ পংক্তি)। ইনি বিজয়মাণিক্যের শ্বশুর ও সেনাপতি দৈত্য নারায়ণের কনিষ্ঠ সহোদর। বিজয়মাণিক্য অল্প বয়স্ক থাকায়, দৈত্য নারায়ণ রাজকাৰ্য্য করিতেছিলেন । তিনি ক্ষমতা গর্বের্ব উন্মত্ত হইয়া পদে পদে রাজাকে উপেক্ষা করিতে লাগিলেন। ভ্রাতার প্রাধান্যের সুযোগ অবলম্বনে দুল্লভ নারায়ণ নিতান্ত উচ্ছ জ্বল হইয়া দাড়াইয়াছিলেন। প্রজাবর্গের প্রতি নানাবিধ অত্যাচার, পরস্ত্রীহরণ র্তাহার নিত্য নৈমিত্তিক কাৰ্য্যের মধ্যে পরিগণিত হইয়া উঠিল। অতঃপর বিজয়মাণিক্য উপায়ান্তর না দেখিয়া, দৈত্য নারায়ণের জ্যেষ্ঠ কন্যার জামাত। মাধবের দ্বারা ভঁাহাকে বধ করাইয়া, এই সকল উপদ্রব নিবারণ করিয়াছিলেন । দেবমাণিক্য —(২৫ পৃঃ—২৯ পংক্তি)। ইনি ধন্থামাণিক্যের পুত্র। চন্দ্র হইতে অধস্তন ১৫২ ও ত্রিপুর হইতে ১০৭ স্থানীয় রাজা । মিথিলা-নিবাসী লক্ষীনারায়ণ নামক এক তান্ত্রিক সাধক দেবমাণিক্যকে শিষ্য করিয়া, তাহার উপর অমিত প্রভাব বিস্তার করিয়াছিলেন । এই ধূৰ্ত্ত ব্রাহ্মণের প্ররোচনায় দেবমাণিক্য দেবীর দর্শন লাভের নিমিত্ত ক্রমান্বয়ে আট জন সেনাপতিকে শ্মশানক্ষেত্রে বলি প্রদান করিয়াছিলেন। পরিশেষে শ্মশান-সাধনকালে দুর্ববৃত্ত ব্রাহ্মণ রাজাকে বধ করিতেও কুষ্টিত হন নাই। এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ ইহাকেও কিয়ৎকাল পরে সেনাপতিগণের হস্তে নিহত হইতে হইয়াছিল। দেবমাণিক্যের শাসনকাল ১৫২২ হইতে ১৫২৭ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত স্থায়ী হইয়াছিল। দৈত্য নারায়ণ –(৩৭ পৃঃ—১৬পংক্তি)। ইনি বিজয়মাণিক্যের শ্বশুর ও সেনাপতি ছিলেন। দৈত্য নারায়ণ প্রমুখ সেনাপতিগণ সমবেতভাবে ইন্দ্রমাণিক্যকে বধ করিয়া বিজয়মাণিক্যকে সিংহাসন প্রদান করেন । এবং দৈত্য নারায়ণ স্বয়ং শাসনভার গ্রহণ করিয়া, পদে পদে রাজার প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ আরম্ভ করেন। এই সময় দৈত্য নারায়ণ ও তাহার ভ্রাতা দুল্লভ নারায়ণ কর্তৃক রাজ্য মধ্যে নানাবিধ অত্যাচার উৎপীড়ন আরম্ভ হইয়াছিল। মহারাজ বিজয় জনস্কোপায় হইয়া দৈত্য নারায়ণকে বধ করিয়া স্বশাসনের পথ উন্মুক্ত করিতে বাধ্য হন। দৈত্য নারায়ণ উড়িয়া হইতে জগন্নাথ বিগ্রহ আনয়ন ও উদয়পুরে স্থাপন করিয়াছিলেন। থশ্বস্তরী নারায়ণ –(৬৩ পৃঃ—২৪ পংক্তি)। ইনি চিকিৎসা ব্যবসায়ী ছিলেন। ইহার পুত্র যাত্রায় বা যায়বৈদ্য, মহারাজ বিজয়মাণিক্যের অস্তিমকালের চিকিৎসক । ইনি ত্রিপুর জাতীয় এবং “নারায়ণ” উপাধিধারী থাকা জানা বাইতেছে।