পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Svペ● রাজমালা । so { দ্বিতীয় হন । ভবসিংহ কামেশ্বর বা এর পুত্র। ইহার অধস্তন তৃতীয় পুরুষ রাজা শিবসিংহের আশ্রয় লাভ করিয়া বৈষ্ণব কবি বিদ্যাপতি ঠাকুর স্বীয় প্রতিভা বিস্তার করিয়াছিলেন, শিবসিংহের ছয় পত্নীর মধ্যে পঞ্চম মহিষীর নাম ছিল লখিমী বা লছিমা দেবী । বিদ্যাপতির পদে পাওয়া যায় ;– “রাজা শিবসিংহ রূপনারায়ণ— লছিমা দেবী পরমাণ ।” ইত্যাদি । শিবসিংহের খুল্লতাত ভ্রাতা নরসিংহ দেবের রাজত্বকালে, তিনি বঙ্গের সুবাদার সুলতান গিয়াস উদ্দীনের হস্তে পরাজিত ও মুসলমানগণের করপ্রদ হইয়াছিলেন। ইহার পরেও এই বংশের কতিপয় ব্যক্তি ত্রিহুতে রাজত্ব করিয়াছেন, কিন্তু র্তাহারা সর্ববতোভাবে পাঠান-শাসনের অনুবৰ্ত্তী ছিলেন। অতঃপর নানা হাত যুরিয়া এই প্রদেশ দ্বারবঙ্গের বর্তমান রাজবংশের হস্তে পতিত হইয়াছে। সম্রাট আকবরের সময় হইতেই তদঞ্চলে মুসলমান-শাসন সুদৃঢ় হইয়াছিল। ত্রিহুত বা মিথিলা প্রাচীনকাল হইতেই বিদ্যাচর্চার নিমিত্ত ভারত বিখ্যাত ছিল । বর্তমান কালেও মিথিলার পণ্ডিতমণ্ডলী আদর্শ স্থানীয় । সঙ্গীত-কলার চর্চাও এ দেশে যথেষ্ট ছিল । ত্রিপুরেশ্বর মহারাজ ধন্যমাণিক্য ত্রিহুত হইতে মৃত্য-গীত নিপুণ ব্যক্তিদিগকে আনিয়া স্বরাজ্যে এই বিদ্যার প্রচলন করিয়াছিলেন। রাজমালায় লিখিত তাছে ;— “ত্রিহুত দেশ হইতে নৃত্য-গীত আনি । রাজ্যেতে শিখায় গীত-নৃত্য নৃপমণি ॥” ধন্ত্যমাণিক্য থও,—২৯ পূঃ । মহারাজের এই সদনুষ্ঠানজনিত ফল আজ পর্য্যন্তও ত্রিপুরাবাসিগণ ভোগ করিয়া আসিতেছেন । রাজ্যের ঘরে ঘরে সঙ্গীত রসজ্ঞ লোক পাওয়া যাইবে । দুঃখের কথা, সাধারণের অভাব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই গুণটা ক্রমশঃ লোপ পাইতেছে । তৈকতান —(২৬ পৃঃ—৪ পংক্তি)। এই স্থান গোমতী নদীর তীরবর্তী ; দেবদ্বারের অল্প উজানে এবং ছনগাঙ্গের দুই বাক ভাটীতে অবস্থিত। পাঠান সেনাপতি হৈতন খ ত্রিপুরা আক্রমণ কালে, এই স্থানে শিবির সংস্থাপন করিয়াছিলেন । o o থানাংচি ;–(১৭ পৃঃ—১০ পংক্তি ) ৷ ইহা কুকি প্রদেশের অন্তভূক্ত। এই স্থানের বিবরণ রাজমালা প্রথম লহরের ২৫৬ পৃষ্ঠায় প্রদান করা হইয়াছে। খুণাইলামপাড় —(৭৫ পৃ-৪ পংক্তি)। তৈকতানের অল্প উত্তরদিকে ছাইমা জাতীয় পার্বত্য প্রজাগণ বাস করিত। জনবসতির চিহ্লস্বরূপ একটি পুরাতন পুষ্করিণী এখনও বিদ্যমান রহিয়াছে। এই পার্বত্য পল্লীকে ‘থুণাইলামপাড়া’ নামে অভিহিত করা হইত বলিয়া জানা যায় ।