পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লহর ] মধ্য-মণি । २8* ধনধান্ত স্ত্রী পুত্রাদি ঐশ্বৰ্য্য সুখ ভোগাবসানে শিবত্ব লাভ করতঃ আর জন্মগ্রহণ করে না ।” সীতাকুণ্ড তীর্থ ত্রিপুর রাজ্যের অন্তর্নিবিষ্ট ছিল, সুতরাং এই তীর্থের সহিত ত্রিপুর রাজ্যের সম্বন্ধ বহু প্রাচীনকাল হইতে চলিয়া আসিতেছে। মহারাজ ধন্যমাণিক্য শম্ভুনাথের মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। এবং সনন্দদ্বারা ভূমি দান করিয়া গিয়াছেন । চন্দ্রনাথের প্রাচীন মন্দির মহারাজ গোবিন্দমাণিক্যের নিৰ্ম্মিত । তাহা বিনষ্ট হওয়ায় বৰ্ত্তমান মন্দির নিৰ্ম্মাণ করা হইয়াছে। অধুনাও এই তীর্থের উন্নতিকল্পে ত্রিপুর রাজপরিবারের বিশেষ চেষ্টা পরিলক্ষিত হয়। মহারাজ রাধাকিশোর মাণিক্যের মহিষী স্বৰ্গীয়া মহারাণী তুলসীবতী মহাদেবীর স্মৃতিরক্ষাকল্পেe ব্যাসকুণ্ডে এক বিরাম ছত্র নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, তাহার নাম “তুলসীবতী বিরাম ছত্র।” স্বৰ্গীয় মহারাজ বীরেন্দ্রকিশোর মাণিক্য স্বীয় জননীর নামে উক্ত মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছেন । মহারাজ রাধাকিশোর মাণিক্যের প্রধান মহিষী শ্ৰীশ্ৰীমতী মহারাণী রত্নমঞ্জরী মহাদেবী সীতাকুণ্ড তীর্থের উদ্ধার সাধন করিয়াছেন। স্বৰ্গীয় মহারাজ রাধাকিশোর মাণিক্য কর্তৃক এক স্থশোভন মন্দির নিৰ্ম্মিত ও তাহাতে অন্নপূর্ণ মূৰ্ত্তি স্থাপিত হইয়াছে। স্বৰ্গীয় কুমার নবীনকিশোর দেববৰ্ম্মা মহোদয়ের স্মৃতিরক্ষার্থ তদীয় জননী ও সহধৰ্ম্মিনী এক যোগে কালভৈরবের মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছেন । ধৰ্ম্মপ্রাণ রাজপরিবারের সহিত এই পবিত্র তীর্থক্ষেত্রের অচ্ছেদ্য সম্বন্ধ কোন কালেই বিচ্ছিন্ন হইবে বলিয়া মনে হয় না । বগাসরি ;–(১৩ পৃঃ—৩ পংক্তি )। ইহা ত্রিপুরেশ্বরের জমিদারীর তান্তর্গত একট পরগণা। পূর্বের এই স্থান রাজ্যের অন্তর্নিবিষ্ট ছিল, মুসলমানের শাসনকালে ত্রিপুরার শাসন হইতে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মহারাজ ধন্যমাণিক্য পুনর্বার তাহা হস্তগত করিয়াছিলেন। পরিণামে উক্ত স্থান জমিদারীতে পরিণত হইয়াছে। এই স্থান কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ দিকে সাত ক্রোশ দূরে অবস্থিত। কুমিল্লা হইতে চট্টগ্রামাভিমুখীন প্রসারিত রাজবক্স এই পরগণার বক্ষের উপর দিয়া গিয়াছে। বঙ্গদেশ —(১২ পৃঃ—২৭ পংক্তি)। বাঙ্গালা দেশ । বঙ্গদেশের সীমা সম্বন্ধে শাস্ত্র বাক্যে পাওয়া যায় ;– “রত্নাকরং সমারভ্য ব্ৰহ্মপুত্রান্তগং শিবে। বঙ্গদেশে ময়া প্রোক্ত: সৰ্ব্বসিদ্ধি প্রদর্শকঃ ॥” শক্তিসঙ্গম তন্ত্র—৭ম পটল । এতদ্বারা সমুদ্র হইতে ব্ৰহ্মপুত্র নদ পর্য্যন্ত বিস্তৃত ভূ-ভাগকে বঙ্গদেশ বলিয়া নির্দেশ করা হইয়াছে। বঙ্গদেশ নামটী বহু প্রাচীন। চন্দ্রবংশীয় মহারাজ বলির পুত্র বঙ্গকর্তৃক শাসিত প্রদেশ ‘বঙ্গ’ নামে অভিহিত হইয়াছে। মৎস্য পুরাণ, গরুড় পুরাণ, জ্যোতিস্তত্ত্ব, বৃহৎ সংহিতা, যোগবশিষ্ট রামায়ণ প্রভৃতি বহু পুরাণ ও কোন কোন তন্ত্রগ্রন্থে এই নামের উল্লেখ পাওয়া যায়। রঘুবংশে বঙ্গদেশের নাম