পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ళe$ు -變 রাজমালা । [ দ্বিতীয় প্রবৃত্ত হওয়া নিরর্থক বলিয়া মনে হয়। তিনি যে জাতীয়ই হউন, ভুলুয়ায় আসিয়া যে কায়স্থ সমাজে মিশিয়াছিলেন, এ কথা সত্য । রাজমালার সংগ্রাহক স্বৰ্গীয় কৈলাসচন্দ্র সিংহ মহাশয় রাজা বিশ্বস্তুরের যে বংশ তালিকা প্রদান করিয়াছেন, তাহা নিম্নে সন্নিবেশিত হইল । * কিন্তু এই বংশাবলী বিশুদ্ধ বলিয়া মনে হয় না। রাজমালায় পাওয়া যায়, ভুলুয়াপতি দুল্লভ রায়ের সহিত ত্রিপুরেশ্বর অমরমাণিক্যের যুদ্ধ হইয়াছিল। কৈলাস বাবুর প্রদত্ত বংশ তালিকায় দুল্লভ রায়ের নাম পাওয়া যাইতেছে না। আমরা বিশুদ্ধ বংশ তালিকা সংগ্ৰহ করিতেছি, তৃতীয় লহরে তাহ প্রদান করা হইবে । রাজা বিশ্বস্তুর রায় । | রাজা গণপতি রায় । রাজা স্বরানন্দ খাঁ । রাজা দেবানন্দ খা । রাজা কবিচন্দ্র খাঁ । রাজা রাজবল্লভ রায় { | | T ।” | | উদয়মাণিক্য রাজমাণিক্য লক্ষণমণিক্য গোবিন্দমাণিক্য নরসিংহমাণিক্য | বলরাম রায় । পূর্বেই বলা হইয়াছে, ভুলুয়া ত্রিপুরার অধীনস্থ সামন্ত রাজ্য ছিল। এই রাজ্যের রাজগণ প্রধান সামন্ত মধ্যে পরিগণিত ছিলেন। ত্রিপুরেশ্বরগণের রাজ্যাভিষেক কালে ইহারা তাহদের ললাটে রাজটিকা প্রদান করিতেন, এবং সামন্ত রাজগণের মধ্যে সকলের অগ্রে নজর প্রদান করিতেন। প্রতি বৎসর পুণ্যাহের সময় রাজাকে নজর প্রদান করা ইহাদের কৰ্ত্তব্য মধ্যে পরিগণিত ছিল । মহারাজ অমরমাণিক্যের শাসনকালে ভুলুয়ারাজ দুল্লভ রায় ত্রিপুরার বশ্যতা স্বীকার করিতে অসম্মত হওয়ায় সেই সূত্রে এক যুদ্ধ সঙ্ঘটিত হইয়াছিল, রাজমালা আলোচনায় ইহা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে মত বৈষম্য আছে। রাজমালার তৃতীয় লহরে বিষয়টা বিশদভাবে আলোচনা করিবার ইচ্ছা রহিল। ভুলুয়ার রাজগণ মধ্যে দুই ব্যক্তি মুসলমানগণের অমুকরণে ‘খ’ উপাধি গ্রহণ করিয়াছিলেন। পরে ত্রিপুরেশ্বরগণের উপাধি অনুসরণে ‘মাণিক্য’ উপাধি গ্রহণ করিয়াছেন। এতদ্বারা বুঝা যায়, ইহারা নিতান্ত অনুকরণ প্রিয় ছিলেন। m- —ro

  • কৈলাস বাবুর রাজমালা—৪র্থ ভাগ, ১ম অঃ, ৩৯৪ পুঃ ।