هاروجة এতদ্বিষয়ক বিবরণ গ্রন্থভাগে (৯৮-৯৯ পৃষ্ঠ ) বিস্তৃত ভাবে আলোচিত হইয়াছে। প্রাচীন কালে ৮ অঙ্কের পরিবর্তে " × " চিন্তু ব্যবহারের দৃষ্টান্তও পাওয়া যায়, কিন্তু *০ জ্ঞাপক ও ৮ অঙ্ক জ্ঞাপক চিন্তু দ্বয়ের মধ্যে আকৃতিগত পার্থক্য আছে। উপরোক্ত মুত্রার সাহায্যে জানা যাইতেছে, বিজয়মাণিক্য ১৪৮০ শকে বঙ্গাভিযানে বহির্গত হইয়াছিলেন । এই অভিযানোপলক্ষে লক্ষ্যায় স্নান করিয়৷ মুদ্রা প্রস্তুতের কথা রাজমালায় পাওয়া যাইতেছে। * বিজয়মাণিক্যের পরবত্তী অনন্তমাণিক্য, উদয়মাণিক্য ও জয়মাণিক্যের মুদ্র বিজয়মণিকো পাওয়া যায় নাই। এই কারণে গ্রন্থভাগে বিবৃত বিবরণ ব্যতীত *** *** ইহাদের শাসনকাল সম্বন্ধীয় নির্ভরযোগ্য অন্য বিবরণ সংগ্রহ করিবার সুবিধা ঘটিল না । স্বাতন্ত্র্য রক্ষার উদ্যম । রাজ্য রক্ষা এবং পররাষ্ট্র বিজয়ার্থ ত্রিপুরেশ্বরগণ সৰ্ব্বদা যত্নবান ছিলেন । স্বাধীনত ক্ষা ও এক রাজার সময়ে রাজ্যের কোন অংশ হস্তচু্যত হইলে, পরবর্তী আল বাদ ষ্টে ভূপতিগণ সেই ক্ষতি উদ্ধারের নিমিত্ত বারম্বার আপ্রাণ চেষ্ট করিয়াছেন, এবং কৃতকাৰ্য্য না হওয়া পৰ্য্যন্ত সেই চেষ্টার বিরাম ঘটে নাই । রাজপুত্র, রাজভ্রাতা প্রভৃতি বীরেন্দ্রবর্গ রাজা এবং রাজ্যের কল্যাণার্থ অকাতরে জীবন বিসর্জন করিতে প্রস্তুত ছিলেন। কোন কোন রাজ মহিষীকেও যুদ্ধক্ষেত্রে অব তীর্ণ হইয়া রাজ্যের স্বার্থ ও কুলমৰ্যাদা রক্ষা করিতে দেখা গিয়াছে। র্তাহাদের এই অদম্য উদ্যম এবং স্বাতন্ত্র্য রক্ষার প্রবল আকাঙক্ষণ অতীব প্রশংসনীয় । সিংহাসনারূঢ় পিতা এবং জ্যেষ্ঠ ভ্রাতাদিগকে বিদুীত করিয়া, অসঙ্গত উপায়ে রাজ্য লাভের প্রয়াসী রত্ব ফ, মুসলমান-শক্তির পৃষ্ঠপোষক তায় সিংহাসন অধিকার পূর্বক রাজনীতি ক্ষেত্রে যে কু-দৃষ্টান্তের বীজ বপন করিয়াছিলেন, তাহার বিষময় ফলে ত্রিপুরাকে প্রতিনিয়ত জর্জসিত হইতে হইয়াছে। উত্তরপুরুষগণের মধ্যে অনেকেই রত্ব ফা এর প্রদর্শিত পথ অমুসরণ দ্বারা রাজ্যের শক্তি এবং মান-মৰ্য্যাদার লাঘব ঘটাইয়াছেন, রাজ্যময় অশান্তি-উপত্রব ঘটাইয়া প্রকৃতিপুঞ্জের বিস্তর ক্ষতি করিয়াছেন। রত্ব ফী মুসলমান শক্তির কৃপায় অনেক বাধাবিল্প অতিক্রম করিয়া সিংহাসন লাভ করিলেন, মুসলমান সম্রাট কিম্বা শাসনকৰ্ত্তাকে বহুমূল্য হস্তী এবং স্থদুল্লভ ভেক-মণি উপটৌকন প্রদান রত্ন ফ। এর ব্যবহার ।
- ব্ৰহ্মপুত্র স্নান করি জরপ মারিল ।
ধ্বজ ঘাট বিজয়ী বলি মহরে লিখিল ৷ তীর্থ রাজ স্নান পরে লক্ষায় গমন । । লক্ষণ স্নান করি জরপ মারিল রাজন। ইত্যাদি । দ্বিতীয় লহর, বিজয়মাণিক্য থও– ৫৫ পৃষ্ঠা।
