পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

할 হস্ত হইতে নিস্কৃতি লাভের আশা করিতে পারেন না । এ স্থলে এইমাত্র নিবেদন করা যাইতেছে যে, মত-ভেদস্থলে যেটি যুক্তিযুক্ত মত বলিয়া প্রতীয়মান হইয়াছে, তাহাই গ্রহণ করিয়াছি। প্রথম লহরের সম্পাদনোপলক্ষে কোন কোন ঐতিহাসিকের মত খণ্ডন করিতে যাইয়। বিষম বিভ্রাটে পড়িতে হইয়াছে। পূর্ববর্তী মতবাদিগণের প্রতি অযথা গালিবর্ষণ করা হইয়াছে বলিয়া কেহ কেহ আমাকে অমুযোগ করিতেছেন । এই অনুযোগের ভিত্তি কোথায়, এখনও বুঝিতে পারি নাই । যাহারা ত্রিপুরার-ইতিবৃত্ত কিঞ্চিম্মাত্রও আলোচনা করিয়াছেন, তাহার বর্তমানক্ষেত্রে আমার পথ প্রদর্শক, সুতরাং তাহদের প্রতি আমি সন্মানের ভাবই পোষণ করিয়া আসিতেছি । কাহাকেও গালি দেওয়া কিম্বা অবমাননা করা অামার উদ্দেশু নহে—তাহ করিবার প্রয়োজনও নাই। অনবধানতাবশতঃ তদ্রুপ কোন কার্য্য করিয়া থাকিলে, প্রথম লহরেই সেই অসতর্কতাজনিত ক্রটর নিমিত্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা হইয়াছে, এ স্থলেও পুনৰ্ব্বার বিনীতভাবে ক্ষমা-ভিক্ষ চাহিতেছি । কিন্তু কাচার ও মতের প্রতিবাদ করাকেই যদি “গালিবর্ষণ’ ধরিয়া লওয়া হয়, তবে আমার প্রতি নিতান্তই অবিচার করা হইবে । যাহাকে সাহিত্যক্ষেত্রে গুরুস্থানীয় বলিয়া শ্রদ্ধা করি, কর্তব্যাকুরোধে এমন ব্যক্তির উক্তি ও খণ্ডনের চেষ্টা করিতে হইয়াছে—প্রয়োজনস্থলে অতঃপর ও তাহণ করিতে বাধ্য চইব । এই ক্ষেত্রে আমব মতই যুক্তিযুক্ত বা সুসঙ্গত বলিয়া নির্বিববাদে গৃহীত হইবে, এমন তুরাশ হৃদয়ে পোষণ করি না ; উপস্থাপিত যুক্তি গুলির ভাল মন্দ বিচার করিবার অধিকার সকলেরই আছে । কিন্তু কোন বিচারক প্রতিবাদ মাত্রকেই যদি “গালিবর্ষণ’ মনে করেন, তৰে তাচার হাত হইতে নিস্তার লাভের উপায় নাই। এই কার্য্যে যেন কৰ্ত্তব্যভ্রষ্ট কিম্বা অসংযত পথে ভ্ৰাম্যমান ন হই, ভগবান সদনে সৰ্ব্বাস্তঃকরণে ইহাই প্রার্থনা করিতেছি । রাজমালার পাচখানা পাণ্ডুলিপি বিশেষ সতর্কতার সঠিত মিলাইয়া পাঠোদ্ধার করা হইয়াছে ; এবং পাদ টীকায় পাঠান্তরের উল্লেখ করা গিয়াছে। এতদ্ব্যতীত, রাজরত্ন কর, কৃষ্ণমালা, শ্রেণীমালা, চম্পকবিজয়, ত্রিপুরবংশাবলী এবং গাজিনাম। প্রভৃতি ত্রিপুরার ইতিবৃত্ত ঘটিত হস্তলিখিত পুথিগুলি যথাসাধ্য আলোচনাদ্ধাবা প্রয়োজনীয় বিবরণ সংগ্ৰহ করা হইয়াছে । তদ্ভিন্ন অন্য যে সকল গ্রন্থের সাহায্য গ্রহণ করা হইয়াছে, তাহার সংক্ষিপ্ত তালিকা ইঙ্গার পশ্চাদ্ভাগে সংযোজিত হইল। ঐ সকল গ্রন্থের প্রণেতা ও প্রকাশকবর্গের নিকট চির-ঋণী থাকিব । এই আলোচনায় কঠোর পরিশ্রম এবং বিস্তর সময় ৰায় করিতে হইয়াছে। এপার ও মহারাজকুমার শ্ৰীলশ্ৰীযুত রণবীরকিশোর দেববৰ্ম্মণ বাহাদুর হইতে যথেষ্ট গ্রন্থসাহায্য লাভ করিয়াছি, তাহার এই উপকার কখনও বিস্তৃত হইবার নহে । এই কার্য্যে ষে সকল সহৃদয় ব্যক্তির আমুকুল্য লাভ করিয়াছি, তন্মধ্যে মহামান্তবর মহারাজকুমার শ্ৰীলশ্ৰীযুত ব্রজেন্দ্রকিশোর দেববৰ্ম্মণ বাহাদুরের নাম সৰ্ব্বাগ্রে উল্লেখযোগ্য। রাজমালার কার্য্যভার শাসন-পরিষদের হস্তে থাকা কালে এই কার্য্যের প্রতি র্তাহার ষে সদয় দৃষ্টি এবং উৎসাহ দেখা গিয়াছে, তাঙ্গ অতুলনীয়। স্থানীয় পূজ্যপাদ পণ্ডিত মণ্ডলীর মধ্যে ত্রিপুরেশ্বরের দ্বারপণ্ডিত মহামহোপাধ্যায় ত্রযুক্ত বৈকুণ্ঠনাথ তর্কভূষণ, রাজপণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত রেবতীমোহন কাব্যরত্ন, এবং উমাকান্ত একাডেমীর প্রধান সংস্কৃত শিক্ষক ত্রযুক্ত পণ্ডিত কৃষ্ণকুমার কাব্যতীর্থ মহাশয় হইতে বিস্তর সাহায্য লাভ করিয়াছি । শ্রদ্ধাস্পদ মহারাজকুমার শ্ৰীলশ্ৰীযুত নরেন্দ্রকিশোর দেববৰ্ম্মণ বাহাদুর, শ্রদ্ধেয় সুহৃদ ঐযুক্ত রায় দীনেশচন্দ্র সেন বাহাদুর বি এ, ডিলিট, এবং