পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ولما • হইতে এই বংশল তা সমুদ্ভূত, এবং ভগবান চক্সের আত্মজ বুধ হইতে চন্দ্রবংশ ধারা প্রবাহিত হইয়াছে। অগ্নিবংশের উৎপত্তি বিবরণ কিঞ্চিৎ বৈচিত্র্যময়। এই বংশ চারিভাগে বিভক্ত, যথা—প্রতিহার ( পুরাহার ), চেলুক্য (চালুক্য বা শোলাঙ্কি ), প্রমার ও চৌহান । এই শাখা চতুষ্টয়ের চারিজন আদি পুরুষ ব্রাহ্মণের যজ্ঞকুণ্ড হইতে অভু্যথিত হইয়াছিলেন। তাঁহাদের নাম প্রতিহার, চেলুক্য, প্রমার ও চৌহান । ইহাদের নামানুসারেই তত্তদ্বংশবল্লী পরিচিত হইয়াছে। ইন্দ্রবংশীয়গণের উৎপত্তি বিবরণ প্রচলিত পুরাণাদি গ্রন্থে পরিলক্ষিত হয় না ; কিন্তু খাসিয়া ও জয়ন্তিয়া প্রদেশের অধিনায়কগণ এতদ্বংশীয় বলিয়া পরিচিত । আদিবংশ সম্পৰ্কীয় একটা কথা এ স্থলে উল্লেখযোগ্য। পাশ্চত্য পণ্ডিতsna Rana গণের মধ্যে অনেকে বলেন, সূৰ্য্য এবং চন্দ্র জড়পদার্থ, স্বতরাং বিবরণ। তাহদের বংশ বিস্তার সম্ভব হইতে পারে না। যাহার বেদ পুরাণোক্ত স্বষ্টিতত্ত্ব এবং তাহার উদ্দেশ্ব ধীরভাবে অনুশীলন করিয়াছেন, তাহারা এরূপ প্রশ্ন উথাপন ক’েন না কিন্তু পাশ্চাত্য-মত-বাদিগণের মধ্যে এতদেশীয় অনেক ব্যক্তিও এ বিষয়ে সন্দেহের ভাব পোষণ করেন । এই সুগভীর প্রাচ্য মতের পোষক প্রমাণ লই যা বিচাবে প্রবৃত্ত হওয়া নিতান্তই দুরূহ ব্যাপার, এবং তাহা সকলের সাধ্যায়ত্ত ও নহে । শাস্ত্ৰ ৰাক্যের প্রতি সন্দেহোস্ত্রেকের ইছাই প্রধান কারণ। বিশেষতঃ এখন পাশ্চাত্য প্রভাবেরর যুগ, সুতরাং পাশ্চাত্য মতামুকুল বাক্যই গ্রাহ হইয়া থাকে । কিন্তু এই ক্ষেত্রে পাশ্চাত্য মত আলোচনা করিতে গেলেও দেখা যাইবে, যে সকল প্রতীচ্য দেশ আপনাদের প্রাচীনত্ব স্থাপনের প্রয়াসী, সেই সকল দেশের আদি বংশের ইতিহাস আর্য্যমতের অমুসরণ করে । মিসর, বাবলেন ও আমেরিকার আদি নৃপতিগণ সূৰ্য্যতনয় বলিয়া পরিচিত। চীনের আদি নৃপতিও সূর্য-পুত্র । এই সকল কথা মানিয়া লইতে আপত্তি না থাকিলে, আর্য্য মতের আলোচন কালে বিরুদ্ধ প্রশ্ন উত্থাপনের কি কারণ থাকিতে পারে জানি না। কিন্তু এই সকল দৃষ্টান্ত দ্বারাই মত-বিরোধিগণ সস্তুষ্ট হইবেন, এমন অাশা হৃদয়ে পোষণ করা যাইতে পারে না । তবে উtহাদিগকে আৰ্য-ইতিহাস শ্রদ্ধার সহিত আলোচনার নিমিত্ত অনুরোধ করা বোধ হয় অসঙ্গত হইবে না । এতৎ সম্বন্ধে আৰ্য্যশাস্ত্র ঘটিত একটা কথ। এ স্থলে বলা যাইতে পারে। কথাটা এই যে, সূৰ্য্য ও চন্দ্রের বংশধারা আলোচনাকালে আমাদের মনে রাখা উচিত, সমস্ত গ্রহ মণ্ডলেবই এক একজন অধিষ্ঠাতা দেবতা আছেন। গ্রন্থ এবং গ্রহ-অধিষ্ঠাতা এক নহেন, অথচ অধিকাংশ স্থলে উভয়ে এক নামেই পরিচিত। এ স্থলে বিশেষভাবে উল্লেখ করা আবশ্বক যে, চন্দ্রগ্রহের অধিষ্ঠাতার নামূও চন্দ্র।

  • विषट्काव-ध्ईडॉग, व्छ नव जडेवा बलाखरब व्यवब्रचषिsाडी क्री लेबा।