পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

गझ्द्र ! ] মধ্য-মণি ৷ so রাজা ফা (নামান্তর হরিরায়) পর্যন্ত ৭১জন ভূপতির ফা’ উপাধি ছিল। মহারাজ । রত্নমাণিক্যের সময় হইতে ‘ফা’ উপাধির পরিবর্তে ‘মাণিক্য’ উপাধি আরস্ত হইয়াছে। শেষোক্ত উপাধিট মুসলমানের প্রদত্ত, সেকথা স্থানান্তরে বলা হইবে। কেহ কেহ বলেন, খান ও ব্রহ্মদেশীয় ভূপতিগণ ‘ফ্রী’ উপাধি ধারণ করিতেন, এই ‘ফ্রী’ হইতেই ‘ফা’ শব্দের উদ্ভব হইয়াছে । একথার ভিত্তি আছে কিনা জানি না। ‘ফী’ শব্দ ত্রিপুরা ভাষা জাত, ইহার অর্থ পিতা’। ‘ফ্রী’ শব্দ প্ৰভুৰাচক। এই উভয় শব্দে অর্থগত বিশেষ পার্থক্য না থাকিলেও, ত্রিপুর ভূপতিগণ ত্রিপুর ভাষাসস্কৃত ‘ফা’ উপাধিই গ্রহণ করিয়াছিলেন, অথবা রাজভক্ত পার্বত্য প্রজাগণ, রাজাকে পিতা জ্ঞানে এই আখ্যা প্রদান করিয়াছিল, এরূপ অনুমান করাই স্বাভাবিক এবং সঙ্গত বলিয়া মনে হয়। এই উপাধি যে প্রভুবাচক নহে—পিতাবাচক, মহারাণীগণের উপাধির সহিত মিলাইলেও তাহাই প্রতিপন্ন হইবে ; যথা— আচোঙ্গ ফ। রাজা—আচোঙ্গ মা রাণী ; থিচোং ফা রাজা—খিচোং মা রাণী, ইত্যাদি। এতদ্বারা রাজাকে পিতা এবং রাণীকে মাত বলা হইয়াছে । সুতরাং ‘ফী’ উপাধি ত্রিপুরাভাষা জাত এবং পিতা অর্থবাচক তদ্বিষয়ে সন্দেহ করিবার কারণ নাই । অন্যান্য দেশেও সম্মান ভাজন ব্যক্তি প্রতি পিতা’ শব্দের আরোপ দৃষ্ট হইয় থাকে। খ্ৰীষ্টান সমাজে ধৰ্ম্মযাজককে "Father' বলা হয় ; তাহারা ঈশ্বরকেও Father বলিয়া থাকে। রোমদেশে ব্যবস্থাপক সভার সভ্যগণ "Fathey’ পদবাচ্য | আমাদের দেশেও এবম্বিধ দৃষ্টান্তের অভাব , নাই | এরূপ অবস্থায় রাজভক্ত প্রকৃতিপুঞ্জ দেবোপম রাজাকে ‘পিতা’ বলিবে, ইহা বিচিত্র নহে। আসামের আহাম' নৃপতিগণও ‘ফী’ উপাধি ধারণ করিতেন। কিন্তু ত্রিপুরেশ্বরগণ তাহার অনেক পূর্ব হইতেই এই আখ্যা লাভ করিয়ছিলেন । আহোমগণ ত্রিপুর রাজ্যের অনুকরণে উক্ত উপাধি ধারণ করিয়াছিলেন বলিয়াই মনে হয় । ত্রিপুর রাজ্য স্থাপনের সময় হইতে সুদীর্ঘকাল উক্ত স্থান বিশেষ দুৰ্গম ছিল। রাজ্যের পশ্চিম অঞ্চল জলমগ্ন থাকায় দূরবর্তীস্থানে যাতায়াত নিতান্তই কষ্টসাধ্য এবং বিপদসঙ্কুল ছিল বলিয়া জানা যায়। এজন্য প্রথমাবস্থায় সাধারণতঃ পার্শ্ববৰ্ত্তী রাজপরিবার কিম্বা সন্ত্রান্ত পরিবারের সঙ্গেই ত্রিপুর রাজবংশের বিবাহাদি সম্বন্ধ সঙ্ঘটিত হইত। রাজমালা প্রথম লহরে সন্নিবিষ্ট সকল রাজার বিবাহের বিবরণ বর্তমান কালে পাওয়া যাইতেছে না, তাহা সংগ্ৰহ করিবার উপায়ও নাই । যাহা সংগ্ৰহ করা সম্ভব হইয়াছে, তদ্বারা জানা যায়, মহারাজ ত্রিলোচন হেরম্বের রাজকন্যার পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন।* তৈদক্ষিণ, মণিপুরের রাজকন্যা বিবাহ "হেরন্থে কছিল দূত এইক্ষণ চল । खं ब्रi८क बिवांश् त्रिष्टएठ 5ांख्रिष्टश् गशिनि । শীঘ্ৰগতি ৰৈল মাইল ত্ৰিলোচন বর। রাজধাল-জিলোচন থও,২১ পৃষ্ঠা। १६ दाँहि क दिवब्र१ ।।