পাতা:শ্রীরামচরিত.djvu/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রীরামচরিত। Yo t তিনি রাজ্যভোগের আড়ম্বর পরিত্যাগ করিয়াছিলেন বটে, কিন্তু এখানে নিরস্তুর স্বভাবের সুচারুশোভ বিলোকন পুৰ্ব্বক বিশ্বকৰ্ত্তা পরমদয়াময় পরমেশ্বরকে নমস্কার করিয়া পরমতৃপ্তি লাভ করিতে লাগিলেন। বিশ্বের চিত্তাকর্ষকগুণ অনিবাৰ্য্য; মনুষ্যের কায্যের প্রতি কিয়ৎকাল নিরীক্ষণ করিলে যেমন সকল কৌশল এক কালে প্রতীত হয়, জগদীশ্বরের কার্য্যের ভাব তদ্ৰুপ নহে ; তাহা যত দেখা যায়, ততই নুতন মুতন কৌশল, মুতন নুতন সৌন্দর্য্য প্রকাশ করে। ইহাতে রামচন্দ্রের ন্যায় মহম্বুদ্ধিশালী ব্যক্তি এই মনোহর স্বভাবোদ্যান মধ্যে অবস্থিতি করিয়া যে সাংসারিকছুঃখ বিস্মৃত হইবেন, তাহ বিচিত্র নহে। বস্তুতঃ তিনি এখানে বহুকাল অধিবাস করিলেন। কিন্তু এক মহত ঘটনা নিকটবৰ্ত্তিনী হইয়া আসিল । পুৰ্ব্বোক্ত লঙ্কাধিপতি রাবণ নৃপতির শূৰ্পণখা নায়ী ভগিনী দাক্ষিণাত্যে অবস্থান করিত। রাজার সহোদর হইয় তাহার অরণ্যবাসের তাৎপর্য্য কি, তাহ আমব| বিশেষৰূপে জ্ঞাত নহি। এৰূপ বর্ণনা আছে Tে রাবণ দাক্ষিণাত্যমধ্যে শ্বর ও দূষণ নামক সেনাধ্যক্ষ দ্বয়েব অধীনে কতক গুলীন সৈন্য সংস্থাপন করিয়াছিলেন ; শূৰ্পণখা তাহারদের সহিত বাস করিত। ঘাহা হউক, একদা সেই দুঃাচারিণী দুষ্টভিপ্রায়ে রামচন্দ্রের আশ্রণে আগমন পুৰ্ব্বক আপনার অভিপ্রায় বিজ্ঞাপন করিল ; রাম তাহাতে অত্যন্ত অসম্মতি প্রকাশ করিলেন । তংপরে সে লক্ষ্মণের কুটীরে গমন করিল ; একে