পাতা:শ্রীরামচরিত.djvu/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রীরামচরিত। २S পারে? বস্তুতঃ কবির যখন বর্ণনা করেন যে রামচন্দ্র এই সময়ে চম্রকে মুর্ষ্য বলিয়া বোধ করিয়াছিলেন, তখন র্তাহার একপ্রকার যথার্থ বর্ণনাই করিয়াছেন। শ্রীরাম, লক্ষণসহ কাতরান্বিত হইয়া ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিতে লাগিলেন; কি উপায়ে সীতার উদ্ধার করা যাইবে, এই চিন্তু তাহার মনে নিরস্তুর জাগৰক রহিল। سے oo-سے এই ৰূপে ভ্রমণ করিতে করিতে র্তাহার ঋষ্যমুক পৰ্ব্বতে উপনীত হইলেন। তথায় সৌভাগ্যক্রমে র্তাহারদের সুগ্ৰীবের সহিত সাক্ষাৎ হইল। সুগ্ৰীব কিষ্কিন্ধ্যাধিপতি বালি নৃপতির কনিষ্ঠসহোদর ছিলেন ; কিন্তু বালিরাজা তাহাকে কোন কারণ বশতঃ রাজ্য হইতে বহিষ্কৃত করাতে তিনি কতিপয় অনুগত ব্যক্তি সমভিব্যাহারে ঋষ্যমুকে অবস্থিতি করিতেছিলেন। রামচন্দ্র ও সুগ্ৰীবের পরস্পর সাক্ষাৎ লাভ যথেষ্ট মঙ্গলের হেতু হইল ; কারণ প্রত্যেকেরই অন্যতরের সাহায্য আবশ্যক ছিল ; রামচন্দ্র সেই অবস্থায় রাবণের নিকট হইতে সীতার উদ্ধার করিতে পারিতেন না, এবং সুগ্ৰীব ও জনকতিপয় অসভ্য লোক সহকারে রাজ্যাংশ গ্রহণে সমর্থ ছিলেন না। পিশেষতঃ সুগ্ৰীব যুদ্ধবিদ্যায় রামচন্দ্র ও লক্ষ্মণের নিপুণতার পরিচয় পাইয়া সাতিশয় সুখী হইলেন। এই সময়ে দাক্ষিণাত্যদেশ অতিশয় অসভ্য ছিল ; লোকসকল সমরকাৰ্য্যাদির পারিপাট্য কিছুই জানিত না; সুতরাং ইহাতে সংগ্রামকুশল এরামচন্ত্রের সাহায্য প্রত্যাশায়