পাতা:শ্রীরামচরিত.djvu/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

~58 প্রীরামচরিত। অবিনশ্বর খ্যাতি সংস্থাপন করিয়াছেন। যত কাল ধর্মের গৌরব থাকিবে, ততন্তুল র্তাহার কীৰ্ত্তিকুসুম সৌরভ বিলুপ্ত হইবে না। বুদ্ধিমতী রমণীর চিরকাল তাহার চরিত্রহইতে সছুপদেশ সংকলন করিতে পারেন। লক্ষ্মণ ও ভরতের চরিত্রও নহে। উভয়েই ভ্রাতার উপকারে জীবন সমৰ্পণ করিয়াছিলেন। লক্ষ্মণ অল্পবয়স্ক হইয়াও বিষয়ভোগ লালসায় মুগ্ধ হয়েন নাই; তিনি চতুর্দশবর্ষ ভ্রাতার সহিত বনে বনে ভ্রমণ স্বীকার করিয়াছিলেন। ভরতের ধর্মনিষ্ঠ অতি চমৎকারিণী। তিনি পিতা মাতার দ্বার রাজ্য গ্রহণে আদিওঁ হইলেন; তথাপি ধৰ্ম্মানুরোধে তাহ গ্রহণ করিলেন না। রামচন্দ্র তাহাকে পুনঃ পুনঃ অনুরোধ করিলে তিনি কেবল রাজ্য রক্ষার ভার মাত্র গ্রহণ করিলেন, রামের পাদুকাকে আপনার মস্তকে ধারণ করিলেন, এবং অষোধ্যায় না গিয়া নন্দিগ্রামে অবস্থিতি করিলেন। ভ্রাতৃস্নেহের এতাদৃশ দৃষ্টান্ত সৰ্ব্বত্র দৃষ্ট হয় না। যেমন কতকগুলীন উৎকৃষ্ট উদাহরণ প্রাপ্ত হইতেছে, তেমন কোন কোন ব্যক্তি পাপের ফলও উত্তমৰূপে প্রদর্শন করিয়াছেন। R রাজা দশরথ অত্যন্ত স্ত্রৈণ ছিলেন। বৃন্ধবয়সে যুবতী পতি হইলে অবশ্যই ন্ত্ৰৈণত দোষে দুষিত হইতে হয়। স্ত্রীর প্রতি যথার্থ প্রীতি থাকিলে মনুষ্য ন্ত্রৈণ হয় না ; কিন্তু কামবৃত্তির প্রবলভ স্ত্রৈণ হইবার কারণ। দশরথ পুত্ৰকে স্নেহ করিতেন ; তথাপি কামাগ্নিপ্রজ্বলিতকারিণী কৈকয়ীর মুখ দর্শন করিলে সকল বিষয় বিস্মত হই