পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/১০৬

象史 कौशांब अभिनन । জ্ঞানক্রিয়ার্থফলরূপিতয়োরুশক্তি ব্ৰক্ষৈল ভাতি সদাসচ্চ তয়োঃ পরং যৎ ॥ ( éशैख्छ८ऊ »»|| ७|७५ ) অর্থাৎ ব্ৰহ্মই অনেকাত্মশক্তিশালী বলিয়া প্ৰতিভাত হইয়া থাকেন। মূলে “ব্রহ্মৈব” পদে একটী “এব” শব্দ আছে। এই “এব” শব্দটী “নিশ্চিত” অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে। অর্থাৎ সেই শক্তি কল্পিত নহে, উহা ব্ৰহ্মের স্বাভাবিক শক্তি। ব্ৰহ্ম সদস্যদাত্মক হইয়াও এই দুই বহিরঙ্গ বৈভবের অতিরিক্ত বস্তু। অর্থাৎ সৎ-স্কুলকাৰ্য্য, যেমন পৃথিব্যাদি ; অসৎ-সুন্ম কারণ, যেমন প্ৰকৃত্যাদি ; ব্ৰহ্ম এই দুই বহিরঙ্গ পদার্থের অতিরিক্ত শ্ৰীবৈকুণ্ঠ তাহার বৈভবস্বরূপ; এবং তটস্থ বৈভব,-শুদ্ধ জীবস্বরূপ। পৃথিব্যাদি স্থূলদূষ্টি গ্রাহ পদার্থ এবং প্রকৃতি প্রভৃতি সূক্ষ্ম অদৃষ্টচর পদার্থ এস্থলে সদসৎ নামে অভিহিত হইয়াছে। ব্ৰহ্ম সদসদরূপে প্ৰতিভাত হয়েন, কেননা, তিনি এই দুইয়ের কারণস্বরূপ । এই সকল পদাৰ্থ ব্ৰহ্মাতিরিক্ত নহে। যেহেতু ব্ৰহ্ম ভিন্ন আর কোনও পদার্থ মূলতঃ नाश् । তাহা হইলে শক্তিসমূহকে ব্ৰহ্ম হইতে স্বতন্ত্র কল্পনা করিলে এই সকল শক্তি অসিদ্ধ হইয়া উঠে। জ্ঞান, ক্রিয়া, অর্থ ও ফল দ্বারা ব্ৰহ্মবৈভবের অস্তিত্ব উপলব্ধ হইয়া থাকে,-মহাদাদি জ্ঞানশক্তিরূপ, সুত্ৰাদি ( কাৰ্য্যানামাধারত্বাৎ সুত্ৰস্থানীয় মিতি শ্ৰীবীররাঘবাচাৰ্য্যাঃ) ক্রিয়াশক্তিরূপ। ব্ৰহ্ম-কাৰ্য্যের আধার, এইজন্য ইনি। সুত্ৰস্থানীয়। শব্দ, স্পৰ্শ, রূপ, রস, গন্ধ এই পঞ্চতন্মাত্র ইন্দ্ৰিয়ার্থক্কপ প্ৰকৃতি, এই প্ৰকৃতিতে সৰ্ব্বভাবের সমাবেশ সুচিত হয়। এই নিমিত্ত ব্ৰহ্মকে সদসৎস্বরূপ বলা হইয়াছে। কিন্তু ব্ৰহ্ম ফলরূপে এই সদসতেরও পর । পুরুষযাখ্য' স্বরূপ, অবৈভব। ভগবাদাখ্যা চিদ্বস্তু এবং তদনুগত শুদ্ধাখ্য জীববস্তু এই উভয়ই ফলস্বরূপ । এই রূপ জ্ঞানক্রিয়াদি দ্বারা ব্রহ্মের বহু শক্তিত্ব ব্যঞ্জিত হইয়াছে।