পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/১১৩

চতুর্থ পরিচ্ছেদ। କାଁଧ୍ শক্তির বিস্তৃত আলোচনা আছে ? পরমাত্মসন্দর্ভে তটস্থ বা জীব শক্তির ব্যাখ্যা ও বিচার করা হইয়াছে। শ্ৰীশঙ্করাচাৰ্য্যও একবারে শক্তি অস্বীকার করিতে পারেন নাই, সৰ্ব্বসংবাদিনী গ্রন্থে অতি বিশদরূপে তাহা সপ্ৰমাণ শ্ৰীপাদ শ্ৰীজীব গোস্বামিমহোদয় সৰ্ব্বসংবাদিনীগ্রন্থেও ভগবৎশক্তিতত্ত্বের বিস্তৃত ব্যাখ্যা করিয়াছেন। তিনি প্রথমতঃ কেবলদ্বৈতবাদিগণের অভিমত উল্লেখ করিয়া লিখিয়াছেন,-“অদ্বয়বাদিগণ বলেন স্বজাতীয়বিজাতীয়-স্বাগতভেদ রহিত জ্ঞানই পর্যতত্ত্ব । শ্ৰীভাগবতে “বদন্তি” শ্লোকে যে “অদ্বয়” পাস্ট আছে সেই পদের প্রয়োগেই উপপন্ন হইতেছে যে পরমBDBD DBBBBBDBDBBDSS SDuuBBBBD TDD DBD DDD D DBDBS SBDBDS জ্ঞান ও তৎসাধনসমূহের প্রবিভাগে ব্ৰহ্মাণ্ডসৃষ্ট্যাদিসাধনে অদ্বয়তত্ত্ব সান্ত হইয়া পড়েন। যদি বল, অদ্বয়তত্ত্ব জগতের কৰ্ত্তা, তবে জ্ঞানই কর্তী হইয়া উঠেন। আর যদি অদ্বয়তত্ত্ব বিক্রিয়মাণ হইয়া জগতের করণস্বরূপ কয়েন, তাহা হুইলে অদ্বয়ংজ্ঞানকে বাস্তান্দিবাৎ জড় বলিয়া প্ৰতিপন্ন করা হয় । তাহা হইলে অদ্বয়ংজ্ঞান অসত্য হইয় পড়েন । ইহারা আরও বলেন, জ্ঞান শব্দটী,-জ্ঞপ্তি, অববোধ ও বোধপৰ্য্যায় ভূক্ত। এই জ্ঞান নামক তত্ত্বটী “শক্তিমৎ” একথা বলাও অসঙ্গত। যদি বল যে “এই অদ্বয়ংজ্ঞান-তত্ত্ব “স্বরূপভৃত শক্তি”, তাহাও বলিতে পার না,- স্বরূপশক্তি বস্তুটী, কি ? এই শক্তি অদ্বয়জ্ঞান হইতে অতিরিক্ত, কি অনতিরিক্ত ? ইহার আgেই বা স্বরূপত্ব কেন, আর "অস্ত্যেই বা শক্তিত্ব কেন ? সীতা বটে, এই অদ্বয়ংজ্ঞানকে ভগবান বলা হইয়াছে। কিন্তু ইহার ভাগময়ত্ব যে গুণাত্মক, যে গুণদ্বারা ইনি “ভগবান" বলিয়া শাব্দিত হইয়াছেন তাহা বিশুদ্ধ জ্ঞানস্বরূপ। সুতরাং একটা স্বরূপশক্তি কল্পনা করিলেও উহা জ্ঞান ভিন্ন আর কিছুই নহে। এই জ্ঞানবিলাসের বহুত্ব বা নানাত্বও কল্পিত হইতে পারে না। অপিচ। নানাবৃত্বে ঈশিত্ব লক্ষণবিশিষ্ট গুণক্রিয়াদিই বা কি প্রকারে সম্ভাবিত হইতে পারে?”