পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o 0 শ্ৰী রায় রামানন্দ । “আরও কথা এই যে এই অদ্বয়ংজ্ঞানতত্ত্বের নীলপীতাদি আকারত্ব ও পরিচ্ছন্নত্বই বা কিরূপে সম্ভাবিত হয় ? অদ্বয়ংজ্ঞানের আবার বর্ণ কি, তাহার পরিচ্ছদই বা কি ? পরিচ্ছদ হইতেছে-দ্রব্যবিশেষ, বৈকুণ্ঠলোকবিশেষ, সেখানে যাহারা গমন করে তাহারা জীববিশেষ,- এই সকলের অদ্বয়ংজ্ঞানত্ব কিরূপে সম্ভবপর হয় ? এই অদ্বয়ংজ্ঞানতত্ত্বের ঐ সকল অবস্থা স্বীকার করিলে সকল কথাই হস্তিস্নানের ন্যায় অকৰ্ম্মণ্য ও অযথা হইয়া পড়ে। অর্থাৎ হস্তীকে স্নান করাইলে সেই মুহুর্তে স্বীয় স্বভাবে হস্তী আবার নিজ দেহকে ধূলি ধূসরিত করে। অদ্বয়তত্ত্বে শক্তিসংযোজনও সেই প্রকার নিরর্থক। ঐ রূপ সিদ্ধান্ত কখনও স্বভাবতঃ নিৰ্ম্মল বা দোষশূন্য হইবে না।” “তবে বলিতে পার যে “এই জগৎ যখন কাৰ্য্যময়। শক্তি ভিন্ন কখনও কাৰ্য্য নিস্পত্তি হয় না, সুতরাং শক্তি অবশ্যই স্বীকাৰ্য্য। তদুত্তরে আমরা বলি এই শক্তি,-তত্ত্বও নহে, অতত্ত্বও নহে, উহা অনিৰ্ব্বচনীয়, সুতরাং উহা মিথ্যা এবং স্বরূপভূত নহে। ভগাদি কেবল উপলক্ষণ মাত্র। জহদজহৎলক্ষণ দ্বারা ভগবান শব্দটী এখানে অদ্বয়ংজ্ঞানের সহিত সামানাধিকরণ্যে প্ৰযুক্ত মাত্র। যেমন “সেই ইনিই দেবদত্ত” বলিলে “দেবদত্ত” শব্দটি উপস্থিত দৃশ্যমান ব্যক্তির পরিচায়করূপে প্ৰতিপন্ন হয়, সেইরূপ “অদ্বয়ংজ্ঞানই ভগবান” এই কথা বলিলে জহদজহৎ লক্ষণা দ্বারা অদ্বয়ংজ্ঞানেরই মুখ্যত্ব সুচিত হইয়া থাকে ৷” * কেবলাদ্বৈতবাদীদের এই আপত্তি খণ্ডনের নিমিত্ত বিশিষ্টাদ্বৈতবাদী শ্ৰীবৈষ্ণবগণ বলেন, অদ্বয়তত্ত্বটি যখন ভাবরূপতত্ত্ব সুতরাং “গল গৃহীত” ন্যায় অনুসারে ইহার স্বরূপশক্তি কেবলা দ্বৈতবাদী দিগকেও স্বীকার করিতে হইবে। জগন্নাদিকাৰ্য দর্শনে শক্তির অস্তিত্ব স্বীকার কে না। করিবে ? কেবলদ্বৈতৰাদিগণের আপত্তি দোষস্পষ্ট। জগৎ যখন কাৰ্য্য, ১১ কাৰ্য্যসিদ্ধির নিমিত্ত শক্তি অবশ্যই স্বীকাৰ্য্য। সুতরাং এই শক্তি, বস্তুৰ W