পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o R শ্ৰীরায় রামানন্দ । হইলে উহা কখনও কাৰ্য্যের নিয়ামক হইতে পারিত না । তাহা হইলে “এই বস্তুদ্বারা এই কাৰ্য্য সাধিত হইবে, ঐ বস্তুদ্বারা এ কাৰ্য্য সাধিত হইবে না।”-কাৰ্য্য-সাধনের এইরূপ নিয়ম থাকিত না । অসত্ত্বের ও অন্যত্বের অবিশেষ প্ৰযুক্ত অনিয়মেই কাৰ্য হইত, কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম থাকিত না । সুতরাং শক্তি কারণেরই স্বরূপ এবং কাৰ্য্য শক্তিরই স্বরূপ, ইহা অবশ্যই স্বীকাৰ্য্য। সৰ্ব্বসংবাদিনীকার শ্ৰীমজীব গোস্বামী বেদান্তের আলোক লইয়া শ্ৰীভগবৎশক্তিতত্ত্বকে অতীব পরিস্ফুট করিয়াছেন। তিনি বলেন আলোকের অনুচর। অন্ধকারের ন্যায় অজ্ঞান চৈতন্যের অনুচর, অর্থাৎ যেখানে চৈতন্য সেইখানেই অজ্ঞান, ইহাই নিয়ম। এই নিয়ম দেখিয়া বুঝা যায় যে এই অজ্ঞানের সত্তাও চৈতন্য হইতেই উদ্ভূত। এই সিদ্ধান্ত হইতে আরও বুঝা যায় যে এই অজ্ঞানসত্তার ক্ষুণ-ধৰ্ম্ম দ্বারাই স্বরূপ শক্তির উপলব্ধি হইয়া থাকে । শ্রুতি বলেন “অৰ্থ কৰ্ম্মাদুচ্যতে ব্ৰহ্ম বৃংহতি বৃংহয়তীতি” শ্ৰীবিষ্ণুপুরাণে এই শ্রুতি অবলম্বনে লিপিত হইয়াছে ; বৃহত্ত্বাব্দ বৃংহণত্বাচ্চ যদব্ৰহ্ম পরমঃ বিহুঃ । বৃহত্ত্বই তেঁাহার শক্তিমত্তার প্রদর্শক । অন্যান্য পদার্থে আমরা যে শক্তির স্ফুরণ দেখিতে পাই, সেই সকল শক্তির মূল প্রস্রবণ,-চিৎশক্তির সন্নিধানত্ব ; নতুবা জড়ে শক্তির ক্রিয়া অসম্ভব। অন্যান্য পদার্থে যে শক্তি দেখিতে পাই, তাহাও ভগবৎশক্তির স্মৃৰ্ত্তিমাত্র। ইহার প্রমাণ বেদান্ত ਚ હજુcરમ 1 સરાર