পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to শ্ৰীৱায় রামানন্দ । বিরুদ্ধতা দোষ ঘটে । ইহাকে স্বরূপ হইতে অভিন্নরূপে চিন্তা করা যায় না, সুতরাং উহা ভিন্ন ; এবং ভিন্নভাবেও চিন্তা করা যায় না। এই জন্য উহা অভিন্ন । এই নিমিত্ত শক্তি ও শক্তিমানের ভেদাভেদ স্বীকৃত হইয়াছে এবং শক্তি ও শক্তিমান অচিন্ত্য বলিয়া ও অভিহিত হইয়াছে। ইহাই গৌড়ীয় বৈষ্ণবগণের অচিন্ত্য ভেদাভেদবাদ। ব্ৰহ্ম-শক্তিবাদ সম্বন্ধে ইহাই বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত । কিন্তু এই শক্তিতত্ত্বের পরেও শ্ৰীল রামরায় শ্ৰীকৃষ্ণতত্ত্বের যে উচ্চতম ভাবের উল্লেখ করিয়াছেন এখন তাহারই কিঞ্চিৎ আলোচনা করিতে প্ৰবৃত্ত হইতেছি । শ্ৰীকৃষ্ণ স্বয়ং ভগবান, তিনি শত শত অবতারের বীজ, তিনি অবতারী, এ সকল কথা ইতঃপূর্বে প্ৰকাশিত হইয়াছে। শ্ৰীগীতায় 1 র্তাহার নিজ শ্ৰীমুখের উক্তি এই যে :- পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুষ্কতাং । ধৰ্ম্মসংস্থাপনার্থীয় সংভবামি যুগে যুগে ৷ যদা মদাহি ধৰ্ম্মস্ত গ্লানির্ভবতি ভারত । অভু্যুত্থানমধৰ্ম্মস্ত তদাত্মানং সৃজাম্যহম | অর্থাৎ “সাধুগণের পরিত্রাণের নিমিত্ত, দুষ্কতজনগণের বিনাশার্থ ও ধৰ্ম্ম সংস্থাপনের জন্য, আমি যুগে যুগে অবতীর্ণ তই । যখন যখন ধৰ্ম্মের গ্লানি ও অধৰ্ম্মের অভু্যত্থান হয়, তখনই আমি আত্মপ্ৰকাশ করি।” ইহাতে জানা যাইতেছে ভূভারহরণার্থ শ্ৰীভগবান প্ৰপঞ্চে প্ৰকটিত হয়েন। এখানে একটা আপত্তি উত্থাপিত হইতে পারে ; সে আপত্তি এই যে কৃষ্ণের ইচ্ছামাত্রেই ভূভার অপহৃত হইতে পারে, অথবা তাহার অংশাবতার দ্বারাই ভূভার অপহরণ সম্ভবপর হয়, এমত অবস্থায় কেবল ভূভার-হরণের নিমিত্ত তাহার অবতরণের কি প্রয়োজন ? এই সম্বন্ধে শ্ৰীকৃষ্ণসন্দর্ভে যে মীমাংস লিখিত হইয়াছে। তদযথা :-:-