পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোদাবরী তাঁটে । প্ৰসন্ন-সলিলা গোদাবরী কলকলতানে মৃদুল তরঙ্গে চুটিয়া চলিয়াছে। ইহার তটপথে একজন নবীন সন্ন্যাসী আত্মহারা হইয়া “কৃষ্ণ কৃষ্ণ, কৃষ্ণ ক্লষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ, কৃষ্ণ হে” এই মধুময় নামের সুধামাধুরী ছড়াইতে ছড়াইতে বসন্তবিহগের ন্যায় আপন ভাবে মাতোয়ারা হইয়া গমন করিতেছেন। তঁহার কাঞ্চনকান্তিতে দশদিক যেন কনকিত হইয়া উঠিয়াছে, কমলনেত্রের করুণ চাহনির স্নিগ্ধ ছটায় মনুষ্যমাত্রেরই হৃদয়ে অপূৰ্ব ভাবের উদয় হইতেছে। যাহারাষ্ঠাকান্ন শ্ৰীমূৰ্ত্তি দর্শন করিতেছেন, তঁাহারাই তাহার সহচর হইতেছেন, যাহাঁদের কর্ণে তঁহার সেই জলদ-গম্ভীর স্নিগ্ধবচনামৃত প্ৰবিষ্ট হইতেছে, তাহারা আরও স্পষ্টতররূপে তাহার শ্ৰীমুখের মধুর নামকীৰ্ত্তনশ্ৰবণ করার জন্য উষ্মস্তেন্ন ন্যায় ধাবিত হইতেছেন। মানুষের এমন রূপ, --আর কেহ কখনও দেখে নাই, মানুষের কণ্ঠ এমন মধুর, ইহাও“কেৰু কখন প্রত্যক্ষ করে নাই। এই কাঞ্চন-গিরিসদৃশ তরুণ সন্ন্যাসীটী যে একটী প্রাকৃত মনুষ্য, কাহারও এ ধারণা হইল না।