পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/১৫৪

Y 8 a वैज्ञान बांगानक। অর্থাৎ এই সাধারণ লোক নিজের ভাবে ভাবিত হইয়াই বিষয়ে অনাসক্ত শ্ৰীকৃষ্ণকেও কামাদি ব্যাপারযুক্ত বলিয়া মনে করে। এই সকল বচন প্ৰমাণ দ্বারা জানা যাইতেছে শ্ৰীশ্ৰী রাধাকৃষ্ণের প্ৰেমবিলাস প্ৰাকৃত মানববুদ্ধির অধিগম্য নহে। উহা অপ্ৰাকৃত প্ৰেমানন্দবিলাসবিশেষ। আমাদের বর্তমান প্ৰাকৃত বুদ্ধিদ্বারা শ্ৰীশ্ৰী রাধাকৃষ্ণের বিলাস-মাহাক্স্যের আলোচনা করিতে প্ৰবৃত্ত হওয়াও খৃষ্টতামাত্র। কিন্তু করুণাময় শ্ৰীভগবান স্বভক্তগণের হিতের নিমিত্ত, এই আনন্দপ্ৰেমবিলাসলীলাসিন্ধুর বিন্দুমাত্র আস্বাদন-রস-প্ৰদান করার জন্য প্রাকৃতের ন্যায় এই প্ৰপঞ্চে বিলাসলীলা প্ৰকটিত করিলেন । তাই শ্ৰীভাগবত বলেন অনুগ্রহায় ভক্তানাং মানুষং দেহমাশ্ৰিত: | ভজতে তাদৃশীঃ ক্রীড়া যা শ্ৰদ্ধা তৎপরো ভবেৎ ॥ অর্থাৎ যদিও শ্ৰীভগবান আপ্তকাম তথাপি ভক্তজনের প্রতি অনুগ্রক প্ৰদৰ্শন করার জন্যই প্ৰপঞ্চে বিলাসলীলার বিস্তার করিয়াছেন । বিশুদ্ধ সত্ত্বের এইরূপই স্বভাব। তঁহার এই লীলা ভক্তিপূর্বক শ্রবণ করিলে বহির্মুখ ব্যক্তিও তৎপর হয়েনি। রাধারমণের অপ্রাকৃত রমণলীলা আনন্দময় প্ৰেমবিলাসবিশেষ। ভক্তিপূর্বক এই লীলা শ্ৰবণে মদনদৰ্প নির্জিত হয়, বিশুদ্ধ প্ৰেমানন্দের সঞ্চার হয়। শ্ৰীভগবান যদি দয়া করিয়া মনুষ্যাকারে কিয়ং পরিমাণে প্ৰাকৃতের স্থায় প্ৰপঞ্চে প্ৰকটিত না হইতেন, মানুষ কখনও প্ৰেমময়ের এই প্ৰেমবিলাসের কণালেশ আস্বাদনে গােলক মাধুৰ্যভাবের অনুভবে সমর্থ হইত না। ভক্তিপূর্বক শ্ৰীকৃষ্ণের বিলাসলীলা শ্ৰবণে কামাদিহৃদরোগ বিনষ্ট হয়, পরাভক্তির উদয় হয়, যথা छत्रद८ङ- 馨