পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ । S8) O ভক্তিং পর্যাং ভগবাতি প্ৰতিলভ্য কামং হৃদরোগমাশ্বিপহিনোত্যচির্যেণ ধীরঃ ॥ টীকাকার পূজ্যপাদ শ্ৰীধর স্বামী লিখিলেন এই শ্লোকে কামবিজয়রূপ রাসক্রীড়ার শ্রবণফল বর্ণিত হইয়াছে। সুতরাং শ্ৰীকৃষ্ণের বিলাসলীলা প্রেমিক ভক্তের হৃৎকর্ণের নিত্যরসায়ন । তাই অন্ত্যলীলায় সর্বভোগবিলাসপরিত্যাগী আদর্শ-যতীন্দ্র-চুড়ামণি মহাপ্ৰভু শ্ৰীল রামরায় ও শ্ৰীপাদস্বৰূপ দামোদরকে বলিতেন ঃ “কৰ্ণ তৃষ্ণায় মরে, পড় রসায়ন, শুনি।” অর্থাৎ হে রামরায়, হে প্ৰাণের স্বরূপ, আমার কর্ণ তৃষ্ণায় মরিতেছে, একবার শ্ৰী রাধাকৃষ্ণের বিলাসলীলাসুধা দানে আমাকে এই দারুণ পিপাসা হাঁটতে বাচাও ” শ্ৰীশ্ৰী রাসলীলা-বিলাস-শ্রবণ প্ৰেমিক ভক্তের পক্ষে সঞ্জীবনী সুধা-স্বাদনবৎ বাঞ্ছনীয়। বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মধ্যে শ্ৰীগৌড়ীয় বৈষ্ণবগণের ভজনীয় বস্তু,- অপরাপর সাধকগণের অনাস্বাদ্য পরম রসতত্ত্ব। ভারতে শ্ৰীকৃষ্ণোপাসক অনেক আছেন, কিন্তু শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্ৰভু শ্ৰীকৃষ্ণ-ভজনের যে অতি গুহাতত্ব জগতে প্ৰকটিত করিয়াছেন, তাহা আর কোন সম্প্রদায়ের ভজনসাধনায় প্ৰকাশ প্ৰাপ্ত হয়েন নাই। ভারতের অনেক উপাসক। অনেক প্রকারে শ্ৰীকৃষ্ণের উপাসনা করেন, তিনি কাহারও মতে যোগশ্বয়েশ্বর, কাহারও মতে বিষ্ণু, কাহারও মতে নারায়ণ, কাহারও মতে রুক্মিণীকান্ত, কাহারও মতে দ্বারকানাথ, কাহারও মতে কংসারি মাথুরেশ প্রভৃতি ভাবে উপাসিত হইয়া থাকেন। কিন্তু গৌড়ীয় প্ৰেমানন্দপূর্ণ বৈষ্ণবগণ তাহাকে “রসস্বরূপ” “রসিকশেখর” “রসরাজ” বলিয়া জানেন এবং সেই ভাৰকেই তাহারা ভজনের চরম ভাব বলিয়া মনে করেন । • আদান-প্ৰদান ভিন্ন রূসের অনুভব অসম্ভব। যোগমাৰ্গাবলম্বী, নীরব