পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 चैन्नtन्न ब्रामानन्म সমস্ত ভেদজ্ঞানবিবর্জিত হইয়া শুষ্ক ব্রহ্মে মনোনিবেশ করিতে পারেন, কিন্তু প্রেমের ভজনশীলগণের প্রতি অনুকম্পা করিবার জন্যই স্বয়ং রসরাজ প্ৰেমবিলাস-লীলা প্ৰকাটিত করেন । আনন্দচিন্ময়রস প্ৰতিভাবিত তঁহার সাক্ষাৎ স্বরূপশক্তি স্বরূপিণী শ্ৰীৱাধিকার সহিত রসরাজের এই প্রেমলীলাঁবিলাস প্রাকৃত বুদ্ধির অধিগম্য নহে,-ইহা ভক্তগণের ধ্যানগম্য, প্রেমসিদ্ধ ভজননিষ্ঠ প্রেমিকগণেরই আস্বাস্থ্য। শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্ৰভু শ্ৰীল রামরায় মহাশয়ের প্রমুখাৎ শ্ৰীশ্ৰীরাধাকৃষ্ণের প্ৰেমবিলাস মহত্ত্বের কথা শুনিয়া বলিলেন, “রামরায়, প্ৰেমবিলাস-মহন্তু সম্বন্ধে এই যাহা বলিলে, তাহাতো বটেই, কিন্তু তার পাৱ ।” রামরায় স্তম্ভিত হইলেন। তিনি বিস্মিত হইয়া বলিলেন, “প্রভো ইহার পর আর কি বলিব|” এই বলিয়া রামরায় একটু নীরব হইয়া যেন কি ভাবিতে লাগিলেন, কিন্তু সে ভাবনা নিম্বফল হইল। তিনি নিবাশ হইয়া বলিলেন “প্রভো, ইহার পরে যে আর কি তত্ত্ব আছে তাহা বলিতে আমি অসমর্থ। ইহার পরে আর আমার বুদ্ধির গতি নাই। আমি ভাবিয়া আর কিছুই পাইতেছি না।” রামরায় এই বলিয়া নীরব হইলেন, নীরব ভাবে প্রভুর মুখের দিকে চাহিয়া আবার ধেন কি ভাবিতে লাগিলেন। দয়াময় রসরাজ, ঈষৎ বঙ্কিম নয়নে বামরায়ের মুখেরদিকে দৃষ্টি করিয়া তাহার হৃদয়ে যেন কি এক গৃঢ় গম্ভীর রসাতত্বের সঞ্চার করিয়া দিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন। - রামর্যায়ের শ্ৰীমুখমণ্ডল ধীরে ধীরে আনন্দে উদ্ভাসিত হইয়া উঠিল, যেন তিনি তঁহার স্মৃতির মন্দিরে খুজিতে খুজিতে কোন হারান ধন প্ৰাপ্ত হইলেন-যেন বহুকালের সুপরিচিত তত্ত্ব-রূদ্ধ প্তাহার নেত্ৰসমক্ষে উদ্ভাসিত হইয়া উঠিল। কিন্তু ইহাতেও প্রভুর আকাক্ষার তৃপ্তি হইবে কিনা, প্ৰভু ইহাতেই পরিতুষ্ট হইবেন কিনা, অথবা এই অন্ধরন্থ প্রভুর গ্রহণযোগ্য হইবে কিনা, রাষরায়ের মনে এই সন্দেহের সঞ্চান্ন হওয়ায় তাহার লন্ধানন্দের বেগ কিম্বৎপরিমাণে মন্দদায় হুইল। এদিকে ና' *ጳ. ፲፩