পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ । S8 ইহোদমিতি যতঃ কাৰ্য্যকায়ণয়োঃ সঃ সমবায়াঃ । *অর্থাৎ যে সম্বন্ধ হইতে অবয়বে অবয়বীর, গুণে গুণীর, কাৰ্য্যে কারণুের, ক্রিয়ায় ক্রিয়াবানের, জাতিতে ব্যক্তির “ইহাতে ইছা৷” এইরূপ প্রত্যয় ঘটে, সেই সম্বন্ধের নাম সমবায় সম্বন্ধ। যেমন তন্তুতে পাট, কপালে ঘাঁট, বীরণে কিট ইত্যাদি । কণাদসূত্রেয় ভাষ্যকায় শ্ৰীমৎ প্রশস্তপাদাচাৰ্য্য এই সূত্রের ভায্যে লিখিয়াছেন :- অযুতসিদ্ধানামা ধাৰ্য্যাধারাভূতানাং যঃ সম্বন্ধঃ ইহ প্ৰত্যয়-হেতুঃ সঃ সমবায়: । ইহার টীকাকার শ্ৰীধরাচাৰ্য্য মহাশয় ন্যায় কন্দুলীতে লিখিয়াছেন :- যুতসিদ্ধি: পৃথকৃসিদ্ধিঃ। পৃথগবস্থিতিরুভয়োরপি সম্বন্ধিনো পরস্পর পবিহারেণ পৃথগাশ্রয়াশ্রয়িত্বং সমবায়ঃ যথা তন্তুপটিয়োঃ । অর্থাৎ যুতসিদ্ধি-পৃথক সিদ্ধি। উভয় সম্বন্ধীয় পৃথক অবস্থিতি না। থাকিলেই তাহাকে অযুতসিদ্ধ বলে। এই অযুতসিদ্ধের সম্বন্ধই সমবায় সম্বন্ধ । যেমন তন্তুপটের সম্বন্ধ। দ্রব্যে দ্রব্যত্ব, গুণে গুণত্ব এবং কৰ্ম্মে কৰ্ম্মত্ব প্রভৃতি ইহার দৃষ্টান্তস্থল। কন্দুলীকার তাই পদ্যে লিখিয়াছেন :- পরম্পরোপসংশ্লেষো ভিন্নানাম যৎকৃতো ভবেৎ।। সমবায়ঃ সবিজ্ঞেয়: স্বাতন্ত্র্য প্রতিরোধক । ভাষাপরিচ্ছেদকার বলেন :- 晕 ঘটাব্দীনাং কপালাদেী দ্রব্যেযু গুণকৰ্ম্মণোঃ। তেষু জাতেশ্চ সম্বন্ধঃ সমবায়ঃ প্ৰকীৰ্ত্তিতঃ। সমবায় কাহাকে বলে এতস্থায় তাহা বুঝা গেল। এখন কারণ لr কাহাকে বলে, তাহা বলা যাইতেছে তদযথা ১-১ * * r অর্থাৎ যাহা ভিন্ন যাহার সিদ্ধি অসম্ভব, অগ্নিয়ত পূৰ্ব্বৰৰ্ত্তিম্ভই কারণক্ষ।