পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

外率审外fā1 Y 68 আলোচ্য শব্দের প্রথম পংক্তির একটী অতি প্ৰয়োজনীয় শব্দ-“ক্ল্যাগ” । ( পহিলহি। রাগ ইত্যাদি ) রাগ শব্দটী রসশাস্ত্রের একটী বিশিষ্ট পারিভাষিক শব্দ। “রাজ্যতে রঞ্জ রাগে” দিবাদিকে ভয়পদী ধাতু হইতেই রাগ শব্দের উৎপত্তি। ভাব ও করণ এই উভয় বাচ্যেই ঘঞ’ প্ৰত্যয় করিয়া এই পদ সাধিত হইতে পারে ( ঘঞি চ ভাবিকরণয়োঃ ) । যাহা দ্বারা কিছু ভাসিত বা রঞ্জিত হয়, তাহাই রাগ, এই অর্থ কারণ বুৎপত্তিসিদ্ধ। সে যাহা হউক, শ্ৰীউজ্জল নীলমণিতে রাগের যে লক্ষণ লিখিত হইয়াছে তাহা এই :- দুঃখমপ্যাধিকং চিত্তে সুখত্বেনৈব ব্যজ্যতে । যতন্তু প্ৰণয়োৎকৰ্ষাৎ স রাগ ইতি কীৰ্ত্ত্যতে ৷ অর্থাৎ প্ৰণয়ের উৎকর্ষ অনেক প্ৰকার আছে। তন্মধ্যে প্ৰণয়ের যেরূপ উৎকর্ষ হইলে চিত্তে দুঃখ ও সুখ্যরূপে প্ৰতীয়মান হয়, প্ৰণয়ের তাদৃশ্য উৎকর্ষের নামই রাগ। প্ৰণয়োৎকর্ষের এমনই মহিমা যে দুঃখ-কারণও সুখকারণরূপে প্ৰতীয়মান হইয়া থাকে । দুঃখেব ধৰ্ম্ম দুঃখত্ব। কিন্তু প্ৰণয়োৎকর্ষ-বিশেষের প্রভাবে এই দুঃখ-কারণও সুখকর বলিয়া প্ৰতীয়মান হয়। যাহার প্রভাবে দুঃখ ও সুখ্যরূপে প্ৰকাশ পায় তাহাই রাগ । বস্ত্ৰ স্বভাবতঃ শুক্ল । কিন্তু বস্ত্র যখন মঞ্জিষ্ঠাৱাগে রঞ্জিত হয়, তখন শুরুত্বের স্থানে মঞ্জিষ্ঠাব লোহিত বর্ণই প্ৰকাশ পাইয়া থাকে। এইরূপ সুখস্বরূপ, প্ৰণয়ের যে উৎকর্যবিশেষে দুঃখ-কারণও সুখকর বলিয়া প্ৰতিভাত হয়, শ্ৰীউজ্জ্বলে ইহার যে "a উদাহরণ আছে তাহা এই- .. ” চাঁদীপিতৈল্লাসি-লতা-ধারাকয়লাশ্ৰিতি । পলমণ্ডলৈ স্থপুটিতেই প্যান্দ্ৰেস্তুটে তন্মুখী। গুপেন্দ্ৰনাদনমসাবিন্দীৰ রান্নাস্থতে । , তয়ে হস্তপদাম্বুজেৰ মুদিত সম্পন্দতে রাধিক ৷