পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ । ey শ্ৰীপাদ শ্ৰীজীব গোস্বামী এই পদ্যের যে তাৎপৰ্য্য লিখিয়াছেন তাহা এই :- “অত্র পরম্পরািমভিন্নচিত্তত্বাৎ তত্ৰ অন্যন্ত অপ্ৰবেশ।াৎ স্বসংবেস্থ্যািদশ দৰ্শিতা ।” অর্থাৎ এস্থলে পরস্পর অভিন্নচিত্তত্বনিবন্ধন স্বসংবেদ্যদশা দশিত হইয়াছে । শ্ৰীল বিশ্বনাথ চক্ৰবৰ্ত্তি মহাশয়ও এই পরৈক্যসিদ্ধান্ত স্বীকার করিয়া লিখিয়াছেন,-“নিধুতভেদভ্রমং যথাস্তাৎ তথা যুঞ্জন”,-“শিল্পী শৃঙ্গাররসে এমন ভাবে উভয়ের চিত্ত একত্ৰ সংযুক্ত করিয়া দিলেন ষে উহাতে সমস্ত প্ৰকার ভেদভ্ৰম নিধুত হইল । শ্ৰীল রাম রায়ের উক্তিতে লিখিত “প্রেমবিলাসবিবৰ্ত্ত”, কবিকর্ণপুরের লিখিত শ্ৰীয়া ধামাধবের “পরৈক্য”,উজ্জ্বলনীলমণিকার লিখিত “নিধুতভেদভ্ৰম” এবং শ্ৰীজীবের সিদ্ধান্তিত “পরস্পরমভিন্নচিত্ত্বত্ব” প্ৰভৃতি সমস্বরে স্ত্রীপুংভেদভাব নিরস্ত করিয়া শ্ৰীশ্ৰী রাধামাধবের প্ৰেমবিলাসের উচ্চতম বিবর্ত ব্যাখ্যা করিতেছে। শ্ৰীল চক্ৰবৰ্ত্তী এই পদ্যের বিশ্লেষণ দ্বারা ব্যস্ত-সমস্ত ভাবে ব্যাখ্যা করিয়া অবশেষে লিখিয়াছেন “এই পদ্য দ্বারা “যাবদাশ্ৰয়বৃত্তিত্ব” উক্ত হইল।” শ্ৰীল শ্ৰীজীব ও শ্ৰীল চক্ৰবৰ্ত্তী উজ্জ্বলেৰ ভাবলক্ষণ-পদের ব্যাখ্যায় এই যাবদাশ্ৰয়বৃত্তির ব্যাখ্যা করিয়াছেন। তাহাতে বুঝা যায় যে আশ্রয়-ভেদেই বৃত্তি-( ব্যাপার বা ক্রিয় ) ভেদ । যদিও অন্যান্য ব্রজসুন্দরীতে মহাভাবের আবেশ হয় বটে, কিন্তু শ্ৰী রাধা। স্বয়ং মহাভাবস্বরূপিণী ৷ ইনি সর্বদা সৰ্ব্বগুণে সকল গোপী অপেক্ষণ গৱীয়সী । শ্ৰীরাধিকার প্ৰেমবৈশিষ্ট্যবিক্ৰম সম্বন্ধে পাৰ্ব্বতী মহাদেবকে জিজ্ঞাসা করায় মহাদেব বলিলেন, ( যথা শ্ৰীউজ্জ্বলে- ) লোকাতীতমজাণ্ডকোটীগমপিত্ৰৈকালিকং যৎসুখং । দুঃখঞ্চেতি পৃথগ যদি ক্ষুটুমুভে তৃে গচ্ছতঃ কুটতাং। নৈবাভাসতুলাং শিবে তদাপি তৎকুটম্বয়ং রাধিকাপ্রেমোছাৎসুখদুঃখসিন্ধুভবয়োর্বিম্মেত বিন্দোরপি। YX