পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

༽ t শ্ৰী রায় রামানন্দ । এই বলিয়া মহাপ্ৰভু নীরব হইলেন, রামানন্দ বিস্মিত হইয়া মহাপ্ৰভুর চরণপানে চাহিয়া রহিলেন । তৃণাদপিনীচতাই বৈষ্ণবধৰ্ম্ম-মন্দিরে প্রবেশের * প্ৰথম সোপান। প্ৰভু ও ভক্ত উভয়েই তাহার যথেষ্ট শিক্ষা প্ৰকাশ করিলেন । এই সময় একজন ব্ৰাহ্মণ আসিয়া মহাপ্ৰভুকে নিমন্ত্রণ করিলেন। তিনি দেখিলেন, ব্ৰাহ্মণটী বৈষ্ণব, র্তাহার নিমন্ত্রণে সম্মত হইলেন। প্ৰেমময় শ্ৰীগৌরাঙ্গ রামানন্দের মুখের দিকে চাহিয়া, ঈষৎ হাসিলেন, হাসিয়া বলিলেন, “রাম রায়, তোমার শ্ৰীমুখে কিছু কৃষ্ণ কথা শুনি, ইহাই আমার সাধ । আবার যেন তোমার দর্শন পাই ।” মহাপ্রভুর ভাষা স্বভাবতই সুমধুর ; নয়ন যুগল স্নেহাৰ্দ, সরল ও প্রীতি-মাখা দৃষ্টিপূর্ণ। রাম রায় এমন প্রেমের স্নিগ্ধ ভাষা আর কখনও শুনেন নাই, তঁহার চিত্ত একবারে গলিয়া গেল। তিনি গদগদ কণ্ঠে বলিলেন, “দয়াময়, পতিত-পাবন, এ দীনহীন পামরের চিত্ত-শোধনের জন্যই যদি এখানে আগমন হইয়াছে, তবে কয়েক দিন। এখানে থাকিতে হইবে,-আমার দুষ্ট চিত্ত শোধন করিতে হইবে।” । । এই বলিয়া রায় প্ৰণত হইলেন। দয়াময় রাম রায়কে ধরিয়া তুলিলেন, ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন, * | “রাম রায়, শ্ৰীগৌরাঙ্গের প্রেমোজ্জল-নিন্ধ প্ৰতিচ্ছবি হৃদয়ে লইয়া স্বীয় আলয়ে গমন করিলেন। গৌরাঙ্গ সুন্দর ব্ৰাহ্মণের গৃহে স্বীয় পদব্রজে পবিত্ৰ করিলেন । রার রামানন্দ ও সন্ন্যাসিবেশ্য শ্ৰীগৌরাঙ্গের প্রথম মিলন,-প্রকৃতই এক অদ্ভুত দৃশ্য ; অদ্ভুত বলিতেছি এই জন্য,-রামরায় রাজা, মহাবিষয়ী ও মহা আড়ম্বরশীল। এমন কি তিনি গোদাবরীতে যখন স্নান করিতে গমন । করিতেন, তখনও তাঁহার সহিত বিবাহযাত্রার স্থায় লোক সমাগম হইত,-