পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A gy শ্ৰীয়ায় রামানন্দ পরৈক্য আছে বলিয়াই এই প্ৰেমবিলাসবিবৰ্ত্ত সাধ্যাবধিরূপে নির্ণীত হইয়াছে। এই পরৈক্যভাব প্ৰদৰ্শন না করা পৰ্য্যন্ত প্রভুর প্রশ্নের নিবৃত্তি হইয়াছিল না । নচেৎ প্ৰভু যখন বলিলেন রাধার প্ৰেম শ্রেষ্ঠ কেন, এবং তদুত্তরে রামরায় যখন বলিলেন :- “সাধারণ প্ৰেমে দেখি সৰ্ব্বত্র সমতা । রাধার কুটিল প্ৰেমে হইল বামত ৷ ক্ৰোধ করি রাসা ছাড়ি গেলা মান করি । তারে না দেখিয়া ইহা ব্যাকুল হইলা হরি ॥” তখনই তঁহার প্রশ্ন নিবৃত্তি হইত। কেননা “বিবর্তরূপ বাম্যপর কৌটিল্যাভাস” উক্ত কতিপয় ছত্ৰে প্ৰকাশিত হইয়াছে। কেবল “বাম্যপর কৌটিল্যাভাস”ই সাধ্য বস্তুর অবধি নহে। তাহা হইলে ললিতা বিশাখা প্রভৃতির বামিতাও সাধ্যাবধি বলিয়া বর্ণিত হইত। আসল কথা এই যে শ্ৰীশ্ৰী রাধামাধবের প্ৰেমবিলাসবিবৰ্ত্তই সাধ্যের অবধি, উভয়ের পরৈক্য আছে বলিয়াই “দুইার প্ৰেমবিলাসমহন্তে” “প্রেমবিলাসবিবৰ্ত্ত” সুচিত কাইয়াছে। নচেৎ বিবত্ত লক্ষণ ঠিক হইত না । অপরস্তু শ্ৰীল কবিকর্ণপুরের মতানুসরণ করিয়া শ্ৰীল রামর্যায়ের পদটীর ব্যাখ্যা করিলে এই পদে বাম তার কথা একবারেই আসিতে পারে। না । শ্ৰীল রাধামোহন ঠাকুর মহাশয় এই পদের সেরূপ ব্যাখ্যা না। করিয়া কষ্টকল্পনাপ্রসূত একটী ব্যাখ্যা করিয়াছেন । অনেক হস্তলিখিত ‘প্রাচীন শ্ৰীচরিতামৃত গ্রন্থে উক্ত গানের “কানুঠামো কহবি বিছুরল জানি।” এইরূপ পাঠ আছে! তাহার অর্থ এই যে “শ্ৰীকৃষ্ণ এখন সম্ভবতঃ এই সব প্ৰেম কাহিনী ভুলিয়া মিয়াছেন, দুতি, সেই সকল কথা তাহার স্মৃতিপথে উপস্থিত করিয়া দিও।” এই দুতী শ্ৰীমতীরই নিস্থষ্টিাৰ্থ দূতী।। ইহার লক্ষণ এই :-