পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

外亨巫 পরিচ্ছেদ । * *b& বিন্যস্তকাৰ্য্যভার সাঙ্গুয়োরেকতরেণ। যা । যুক্ত্যোভৌ ঘটয়েদেষা নিসৃষ্টাৰ্থ নিগদ্যতে ॥ অর্থাৎ নায়ক নায়িকার মধ্যে একজন দ্বারা কাৰ্য্যভারপ্রাপ্ত হইয়া যুক্তি দ্বারা তদুভয়ের মিলনকারিণীই নিসৃষ্টাৰ্থ দূতী নামে অভিহিত। শ্ৰীল রামানন্দ রায়ের গানের অর্থে প্ৰবেশ করিতে চেষ্টা করিলে প্ৰতীয়মান হয়, শ্ৰীকৃষ্ণের প্রবাসে শ্ৰীমতী বিরহব্যাকুলা হইয়াই তাহাকে আনিবার জন্য দূতীকে প্রেরণ করেন এবং শ্ৰীকৃষ্ণকে বলিবার জন্য দূতীকে যুক্তি বলিয়া দেন। সে যুক্তি --সেই প্ৰগাঢ় মাঞ্জিষ্ঠরাগের প্ৰেম এবং উভয়ের প্রেমের পরৈক্য ভাব। কিন্তু শ্ৰীল রাধামোহন এই দূতীকে শ্ৰীকৃষ্ণের প্রেরিত দূতী করিয়াছেন এবং শ্ৰীমতীর মুখে বলিতেছেন “বিছুরহু জানি” “বিস্মৃত মাতৃঃ যতত্ত্বং তদ্বিস্মরণশীলস্য অনুগত দূতী অতো বিস্মরণং সাহজিকমিতি।” অর্থাৎ হে দৃতি তুমি ভুলিও না, তুমি ভুলিলেও ভুলিতে পাের, কেননা তুমি ত সেই বিস্মরণশীলের দূতী, সুতরাং বিস্মরণ তোমার পক্ষে অতি সহজ । ( ইহা বক্রোক্তি )। “অবসেই বিরাগ” ইহাতেও বক্রোক্তি ও মান স্পষ্টতঃই সুচিত হইয়াছে। মানের কিঞ্চিৎ বিরামে এ স্থলে অবহিখা প্ৰকাশ পাইয়াছে।” শ্ৰীল রাধামোহন ঠাকুর মহাশয় এইরূপ কষ্টকল্পিত অভিনব ব্যাখ্যা করিয়া গানটির স্বতন্ত্র অর্থ করিয়াছেন। কিন্তু শ্ৰীল কবিরাজ গোস্বামী যদি এই গানের ঐ রূপ অর্থ মনে করিতেন তবে তিনি “তথাহি” বলিয়া কৌটিল্যাভাসদ্যোতক কোনও একটী বচন-প্ৰমাণ শ্ৰীমদ্ভাগবত হইতে উদ্ধৃত করিয়া দিতে পারিতেন, তাহা না করিয়া “নিধু ভেদ-ভ্ৰমং” “যুঞ্জন প্রভৃতি পদপূর্ণ শ্ৰীমতীর মহাভাবের উহাহরণ বচনের উল্লেখ করিতেন না। শ্ৰীল রাধামোহন ঠাকুর মহাশয় পদার্শ্বতসমুদ্রে মহাজনগণের পদ্ধসংগ্ৰহ করিয়া তাহার টীকা করিয়াছেন। তঁহার টীকায় এক পদের সহিত্ব অপর