পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । সাধনতত্ত্ব বা ভক্তিতত্ত্ব । ভজনার্থী সাধুগণের সাধ্যসাধনতত্ত্বের জ্ঞান একান্ত প্রয়োজনীয়। পরমদয়াল শ্ৰীগৌরাঙ্গ শ্ৰীল রামর্যায়ের দ্বারা বৈষ্ণবজগতে এই তত্ত্ব প্ৰাকটত করেন। সাধ্যতত্ত্ব কি, তাহার অবধিই বা কি, ইতঃপূর্বে তাহা অভিব্যক্ত হইয়াছে। এখন প্ৰভু সাধনের কথা জিজ্ঞাসা করিতেছেন। যথা শ্ৰীচৈতন্যচরিতামৃতে সাধ্যবস্তু সাধন বিনা কেহ নাহি পায় । কৃপা করি কহ রায়, পাবার উপায় ৷ সাধ্যবস্তু লাভ করিতে হইলে সাধনের আবশ্যক। বিনা সাধনে সাধ্যবস্তুর লাভ হয় না । কৃপাসিদ্ধগণের ও নিত্যসিদ্ধগণের কথা স্বতন্ত্র । মায়ার বিক্ষেপিকা শক্তিতে জীব শ্ৰীভগবদ্ধহিন্মুখ হইয়া পড়েন, উহারই আবরণী শক্তির ক্রিয়ায় জীবের হৃদয়ে শ্ৰীভগবত্তত্বের স্মৃত্তি হয় না। শ্ৰীভগৰৎসান্নিধ্য এবং তঁহার সহিত জীবের যে নৈকট্য সম্বন্ধ আছে, তৎপরিাবজ্ঞানের জন্য মায়ার প্রতিকুল শক্তি হইতে পরিত্ৰাণ প্ৰাপ্তির প্রয়াসই জীবের প্ৰাথমিক সাধন। প্রথমতঃ সাধনবলে বিবেক-বৈরাগ্যাদির উদয় হয়, মুক্তিই এই প্ৰাথমিক সাধনের ফল। বৰ্ণাশ্রমাচারধৰ্ম্ম ও জ্ঞানের সাধন দ্বারা এই মুক্তি লাভ হইতে পারে। কিন্তু ভক্তির সাধন ভিন্ন ভগবভূত্বের স্মৃত্তি হয় না। সাধনভক্তি দ্বারা ভগবত্তত্বের জ্ঞানলাভ হয়, কিন্তু শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্ৰভু শ্ৰীল রামরায়কে যে সাধনের কথা জিজ্ঞাসা করিতেছেন তাহা জীবের উচ্চতম সাধন । সায্যের অবধিকে লাভ করিতে হইলে সাধনের ও অবধি আবশ্যক। সুতরাং সাধনার উচ্চতম রাজ্যে অধিরূঢ়