পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । ❖ ዓx9 না হইলে সেই সাধালাভে অধিকার জন্মে না। শ্ৰীল রামরায় শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্রভুর নিকট সাধনার যে উচ্চতম প্রক্রিয়া বৰ্ণনা করিয়াছেন, তাহা উচ্চতম অধিকারীরই সাধন । ভিন্ন ভিন্ন সাধকগণ ভিন্ন ভিন্ন পথে পরমতত্ত্ব লাভের জন্য সাধন করিয়া থাকেন। কেহ কৰ্ম্ম, কেহ যোগ, কেহ জ্ঞান ইত্যাদি নানা প্রকারের প্রক্রিয়ায় তত্ত্ববস্তু লাভের চেষ্টা করেন। বৈষ্ণবগণের সাধন-ভক্তি । বৈষ্ণবগণের মধ্যেও ভিন্ন ভিন্ন শাখা আছে। সকলেই ভক্তিদেবীর অনুগত। কিন্তু গৌড়ীয় বৈষ্ণবগণের সাধনা-প্ৰেমভক্তির উচ্চতম সেবাবিশেষ। সেই সাধনা কি প্রকার, শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্ৰভু শ্ৰীল রামর্যায়ের মুখে তাহাই প্ৰকটিত করিয়াছেন । অধিকারিভেদেই উপাস্তিতত্ত্ব ও উপাসনাতত্ত্বের ক্রমবিকাশ পরিলক্ষিত হয় । শ্ৰীল রামর্যায়ের সাধ্যতত্ত্ব তোমার আমার সাধ্য নহেন, তঁহার সাধনাও আমার তোমার তোমার সাধনা হইতে পারে না । আমি তুমি বৈধিভক্তির বিন্দুমাত্র লাভ করিতে পারিলেও জীবনকে কৃতাৰ্থ মনে করিব । রাগানুগা আমাদের অভীপিসত হইলেও বিত্তমান অবস্থায় উহ দুৰ্লক্ষ্য ও দুর্নিরীক্ষ্য। কিন্তু শ্ৰীল রামানন্দের ন্যায় উচ্চতম অধিকারিগণ বৈধী ভক্তির সীমায় আবদ্ধ নহেন, তাহারা গোপীভাবে বিভোর, গোপীভাবের সেবানুরাগে নিয়ত প্ৰলুব্ধ। কিন্তু একালে সেরূপ ভক্ত অত্যন্ত সুদুৰ্লভ । শত কোটী ভক্তের মধ্যে একটি ভক্তেরও সেরূপ অধিকার चाCिछ किना नgन्ाङ् । শাস্ত্রে রাগানুগ ও রাগাত্মিক ভক্রিয় প্ৰসঙ্গ আছে এবং ব্ৰজরাসাস্বাদনে যে ঐ রূপ ভক্তিই একমাত্ৰ সাধন, তাহার সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে। কিন্তু পূর্বেই বলিয়াছি অধিকারভেদেই উপসন্যভেদ। শ্ৰীল রামানন্দ মহাপ্রভুর নিকট সাধ্যাবধির কথা বলিয়াছেন। সেই সাধ্যাবধি লাজ করিতে হইলে “সাধনাবধি” অবলম্বনীয়। এখানে সেই সাধনাত্মধিয়াই