পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৬ শ্ৰী রায় রামানন্দ । অর্থাৎ বিজ্ঞানানন্দঘন শ্ৰীভগবান সচ্চিদানন্দৈকারসম্বরূপ ভক্তিযোগেই অবস্থিত। আনন্দময় পরমব্ৰহ্ম শ্ৰীভগবানের সাক্ষাৎকার ও সম্ভোগের নিমিত্ত ভক্তিই একমাত্ৰ সাধন । ভক্তি কাহাকে কলে তাহার কিঞ্চিৎ আলোচনা করা প্ৰয়োজনীয় । ব্যাকরণ বলেন “ভজ শিঙা সেবায়াম৷” ভজ ধাতু সেবা অর্থে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। অপিচ “ভজ বিশ্রাননে ; বিশ্রাননং দানম।” দান অর্থেও ভজধাতুর প্রয়োগ আছে। প্রথমত: “ভজ সেবায়াম” এই ধাত্বর্থ হইতেই ভক্তি শব্দের অর্থ নিষ্কৰ্ষ করা যাইতেছে। নারদ পঞ্চরাত্রে লিখিত আছে :- সৰ্ব্বেপাধিবিনিৰ্ম্ম ক্ৰং তৎপরত্বেন নিৰ্ম্মলং । হৃষীকেণ হৃষীকেশসেবনং ভক্তিারুচ্যতে ৷ ইন্দ্ৰিয় সমূহ দ্বারা হৃষীকেশের সেবনই ভক্তি। এই সেবন সৰ্ব্ব প্ৰকাৰ স্বার্থভিসন্ধানময়-উপাধিবিবজ্জিত এবং শ্ৰীভগবৎপরায়ণতায় নিৰ্ম্মল । ইহার আর একটী লক্ষণ ভক্তিরাসামৃতসিন্ধু গ্ৰন্থ হইতে উদ্ধত করা যাইতেছে। তদযথা :- অন্যাভিলাষিতাশূন্যং জ্ঞানকৰ্ম্মাদ্যনাবৃতম। আনুকূল্যেন কৃষ্ণানুশীলনং ভক্তিরুত্তমা ॥ আনুকুল্যভাবে অন্যাক্তিলাষিতাশূন্য এবং জ্ঞানকৰ্ম্মাদি অনাবৃত কৃষ্ণানুশীলনই ভক্তি। এই শ্লোকের অনুশীলন শব্দটী শীল ধাতু হইতে উৎপন্ন। শীলধাতুর প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তি দুই অর্থ আছে। প্ৰবৃত্তার্থক শীল ধাতু কায়বাক্যমানসীয় চেষ্টারূপ। শ্ৰীকৃষ্ণের শ্ৰীতি উদ্দেশ্যে নিখিল চেষ্টাই কৃষ্ণানুশীলন । শ্রবণ-কীৰ্ত্তন-স্মরণ-পাদসেবন-অৰ্চন-বন্দন-দান্তসখ্য-আত্মনিবেদন প্রভৃতি ইহার অন্তর্গত। ধ্যানও এই অনুশীলন শব্দের বাচ্য। ধ্যান-নিবৃত্তার্থ অনুশীলন। শ্ৰীপাদ রামানুজ ধ্যানকে “ঞাবানু