পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/২০৩

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । እ ኴr ዓ রাগানুগার সাধন। বৈধীভক্তির কৃপায় চিত্ত বিষয়বিমুক্ত হয়, রাগানুগাভক্তি ধারণের উপযুক্ত হয় । সুতরাং বৈধীই সাধন-ভক্তির প্রথম অঙ্গরূপে নির্দিষ্ট হইয়াছে । শ্ৰীল রামরায় মহাশয়ের কথিত সাধনতত্ত্ব শ্ৰীচৈতন্যচরিতামৃত হইতে উদ্ধত করিয়া দিয়াই আমরা নিশ্চিন্ত হইতে পারিতাম। কিন্তু পূর্বেই বলিয়াছি রায় মহাশয়ের ন্যায় সাধনতত্ত্বের অধিকারী জগতে অতি সুদুৰ্লভ। বিশেষতঃ র্তাহার সাধনায় অতি অপ্ৰাকৃত আচরণের উল্লেখ আছে। স্বয়ং মহাপ্ৰভু বলিয়াছেন শ্ৰীল রামরায় ভিন্ন তদ্বৎ আচরণের আর দ্বিতীয় পাত্ৰ নাই। এ সকল কথা পরে সবিস্তাররূপে বলা যাইবে । যাহারা ব্ৰজভজনের মধুর রাজ্যে প্রবেশ করিবার সাধনার পথে অগ্রসর হইতে ইচ্ছুক, তাহদের পক্ষে সৰ্ব্ব প্ৰথমে বৈৰীভক্তির নিষেবণে চিত্তশুদ্ধির প্রয়োজন। শ্রবণাদি দ্বারা চিত্ত বিশুদ্ধ হইলে উহা কৃষ্ণপ্রেমের উপযোগিতা লাভ করে । সুতরাং বৈধী৷ ভক্তি রাগানুগ ভক্তির সাধন । আমাদের মত নরাধমদের বৈৰীভক্তিই একমাত্র আশ্ৰয় । অতএব উচ্চতম সাধনতত্ত্বের শাস্ত্রীয় ছায়াভাস প্রদর্শন করিবার পূৰ্ব্বে বৈধীভক্তির কিঞ্চিৎ আলোচনা করা একান্ত প্রয়োজনীয়। শ্ৰীভক্তিরাসামৃতসিন্ধুতে বৈাধীভক্তির যে লক্ষণ লিখিত হইয়াছে তাহা এই ষেযত্র রাগানবাপ্তিত্বাৎ প্ৰবৃত্তিরুপজায়তে । শাসনেনৈব শাস্ত্রস্ত স৷ বৈৰীভক্তি রুচাতে ৷ . শ্ৰীভগবানে রুচি উৎপন্ন হয় নাই। অথচ শাস্ত্রশাসনভয়ে ভগবৎসেবায় ষে প্ৰবৃত্তির উদয় হয়, তাহারই নাম বৈৰীভক্তি। আমাদের দৃষ্টি অতি স্কুল, এই স্থূলতম প্ৰপঞ্চের মায়াবরণীর মধ্য দিয়া অপেক্ষাকৃত অল্প স্থূল বিষয়ও আমাদের প্রত্যক্ষের বিষয়ীভূত হয় না। সাধারণতঃ জাতীয় বিজ্ঞান যে শক্তির সপ্রমাণ করে, তাহাও আমাদের বুদ্ধির অতীত। সূক্ষ্ম, কুষ্মতর ও সূক্ষ্মতম জগতের তত্ত্বনিৰহের বহু বহু অন্তরালে জাষ্ট্ৰীয় শক্তির অতীত, - ।