পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o শ্ৰী রায় রামানন্দ । ধঃ কোেনাপ্যতিভাগ্যেনে জাতশ্রদ্ধোহস্য সেবনে । নাতিসক্তো ন বৈরাগ্যভাগস্তামধিকাৰ্য্যসৌ | অর্থাৎ অতি ভাগ্যবশাৎ ( মহৎ সঙ্গাদিজাতিসংস্কারবশাৎ ) শ্ৰীকৃষ্ণসেবনে র্যাহার শ্রদ্ধা উপজাত হইয়াছে, অথচ বিষয়ে বৈরাগ্য জন্মে নাই এবং শ্ৰীকৃষ্ণে ও আসক্তি জন্মে নাই, এতাদৃশ ব্যক্তিই বৈধী ভক্তিতে অধিকারী । এই অধিকারী উত্তম মধ্যম ও কনিষ্ঠ ভেদে তিন প্রকার । উত্তম অধিকারীর লক্ষণ এই— শাস্ত্রে যুক্তৌচ নিপুণঃ সৰ্ব্বথা দৃঢ়নিশ্চয়ঃ । প্রৌঢ়াশ্রদ্ধোহধিকারী য: স ভক্তাবুত্তমো মত: | শাস্ত্ৰ যুক্তিতে যিনি প্রবীণ, যিনি সর্বপ্রকারে দৃঢ় নিশ্চয়, যিনি প্রৌঢ় শ্রদ্ধ, তিনিই উত্তম অধিকাৰী । যাহাবা বৈধী ভক্তিমাৰ্গাবলম্বী, শাস্ত্ৰ-শাসনই তাহাদের শ্ৰীকৃষ্ণ-সেবনে প্ৰবৃত্তির কারণ। শ্ৰীমহাপ্রভুর উক্তি এই যে - সৰ্ব্বজ্ঞ মুনির বাক্য শাস্ত্ৰই প্ৰমাণ। আমা সব জীবের হয় শাস্ত্ৰ দ্বারা জ্ঞান ৷ সুতরাং শাস্ত্রার্থে দৃঢ়বিশ্বাসিত্বই উত্তম অধিকারীর লক্ষণ । “সৰ্ব্বথাদৃঢ় নিশ্চয়” শব্দের ব্যাখ্যায়৷ শ্ৰীপাদ শ্ৰীজীব গোস্বামি মহাশয় বলেন তত্ত্ববিচার, সাধনবিচার ও পুরুষাৰ্থ বিচাবে শ্ৰীকৃষ্ণই যে একমাত্র উপাস্য, এই বিষয়ে যিনি দৃঢ় নিশ্চয় হইয়াছেন তিনিই উত্তম ভক্ত। এস্থলে যে যুক্তির উল্লেখ আছে উচ্চা শাস্ত্রানুগত যুক্তি বলিয়াই বুঝিতে চাইবে । কেবল যুক্তির কোন প্ৰকার প্রতিষ্ঠা নাই । শ্রুতি বলেন “তর্কা প্ৰতিষ্ঠানাৎ’ অর্থাৎ তর্কের প্রতিষ্ঠা নাই । এই তর্ক বেদবিরোধী তর্ক বলিয়াই বুঝিতে হইবে। কেবল যুক্তির প্রতিষ্ঠা নাই। কিন্তু বেদবিহিত যুক্তির প্রতিষ্ঠা আছে । মনু বলেন- , আৰ্যাধৰ্ম্মোপদেশঞ্চ বেদশাস্ত্রাবিয়োধিনী । ষপ্তর্কে নানুসন্ধান্তে সী ধৰ্ম্ম বেদ নোতরঃ ॥