পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীয়ায় রামানন্দ । অর্থাৎ অবিজ্ঞাতিতত্ত্ববিষয়সম্বন্ধে তত্ত্বজ্ঞান লাভের নিমিত্ত কারণপ্ৰদৰ্শন সহকারে যে জিজ্ঞাসা, তাহারই নাম তর্ক । লোকে তর্ক বলিলে সাধারণতঃ যাহা বুঝিয়া থাকে, এ তর্ক বা যুক্তি সেরূপ নহে। ফলতঃ শাস্ত্ৰ ও যুক্তির দৃঢ় ভিত্তিতে যে বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত না হয়, সে বিশ্বাস আন্দেী বিশ্বাসই নহে। তাহা আজি আছে, হয়ত দুই দিন পরে চলিয়া যাইবে। শাস্ত্রার্থে দৃঢ় বিশ্বাস করিতে হইবে, এবং তত্ত্ববিচার সাধনবিচার ও পুরুষাৰ্থবিচার দ্বারা বিশ্বাসকে সুদৃঢ় করিতে হইবে। যিনি এই ভাবে শাস্ত্ৰযুক্তি প্ৰভৃতির দৃঢ় ভূমিতে বিশ্বাসকে সংস্থাপিত করিয়া কৃষ্ণ-ভজনে প্ৰবৃত্ত হয়েন, তাদৃশ প্রৌঢ়শ্রদ্ধ ব্যক্তিই উত্তম অধিকাৰী । মধাম্যাধিকারীর লক্ষণ এই যে :- যঃ শাস্ত্ৰাদিঘনিপুণঃ শ্ৰদ্ধাবানস তু মধ্যমঃ। যিনি শাস্ত্ৰাদিতে অনিপুণ অথচ শ্রদ্ধাবান তিনিই মধ্যমাধিকারী। শ্ৰীল শ্ৰীজীব গোস্বামিপাদ ইহার ব্যাখ্যায় লিখিয়াছেন অনিপুণ শব্দেব অর্থ নিপুণসদৃশ। শাস্ত্রীয় বিচার সময়ে বলবতী বাধা উপস্থিত চাইলে শাস্ত্ৰ যুক্তিতে উহার সমর্থন করিতে অসমর্থ হইলেও র্যাহার বিশ্বাস ভূমি বিকম্পিত না হয়, তিনিই মধ্যমাধিকারী। কনিষ্ঠাধিকারীর লক্ষণ এই যে যো ভবেৎ। কোমল শ্রদ্ধঃ সি কনিষ্ঠে নিগদ্যতে যিনি শাস্ত্র ও শাস্ত্রসম্মত যুক্তিতে অনিপুণ, বিরুদ্ধমতবাদীরা শাস্ত্র যুক্তি দ্বারা সহজেই যাঙ্গাকে ও বিচলিত করিতে পারেন, তিনিই কোমলশ্ৰদ্ধ। বৈৰীভক্তির অধিকারিবিনির্ণয় সম্বন্ধে এ পৰ্য্যন্ত যাহা বলা হুইল ইহা অপেক্ষাও অধিকতর উদার, অধিকারিত্ব-বিনির্ণায়ক বচন প্ৰমাণ শ্ৰীশ্ৰীভক্তি রাসামৃত সিন্ধুকার উদ্ধত করিয়াছেন। যথা কারিকা :- শাস্তুতঃ শ্ৰয়তে ভক্তেী নৃমাত্ৰস্তাধিকারিতা । সৰ্বাধিকারিতা মাঘস্নানন্ত ব্রুবতা যতঃ ॥ দৃষ্টাস্তিতা বশিষ্ঠোন হরিভক্তিৰূপং প্রতি। '