পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

/ প্ৰথম পরিচ্ছেদ । বিশ্ব-ব্ৰহ্মাণ্ডেব নিয়ন্ত । প্ৰেমজগতেবও নিয়ম আছে। নিয়ন্ত সেই নিয়ম লঙ্ঘন কবেন না । * চরক বলেন, ভাব সামান্যই ভাব-বৃদ্ধিব কাবণ। বিশেষই হ্রাসের হেতু । যথা :- সৰ্ব্বথা সৰ্বভাবানাং সামান্যং বৃদ্ধিকাবণম। হ্রাসহেতু বিশেষশ্চ প্ৰবৃত্তিরুভয়স্ত তু৷ জলধবেব জলরাশি সমুদ্রবক্ষে নিপতিত হয়, কিন্তু সাহাবাব প্ৰতপ্তমীরু তাহার বিন্দুমাত্ৰও লাভ করিতে পারে না । এই দুজ্ঞেয় জগৎবহস্তের ব্যাখ্যা মানব বুদ্ধির অগম্য। রামানন্দ বায়েব সহচরীগণের হৃদয় মরুসদৃশ উত্তপ্ত। তাহাদের হৃদয়ে প্রেমামুত বর্ষণ হইলে জগতের একটা অভাবপূর্ণ হইত। কিন্তু স্বয়ং প্রভুও তাহাদিগকে দেখিয়া প্ৰেমবেগ সম্বরণ করিলেন। ইহাব তাৎপৰ্য্য বোধ হয় এই যে, কৃষক যেমন যে-সে ভূমিতে সহসা বীজ বপন করে না, কবিলেও শেহ তাহাকে বুদ্ধিমান বলিয়া মনে করে না, শ্ৰীভগবানও সেইরূপ অপ্ৰস্তুত হৃদয়ে সহসা প্ৰেমবারি বর্ষণ করেন না। শ্ৰীল রামরায়কে দর্শন দিয়া তিনি যে কৃপা করিলেন, জগাই মাধাইকে উদ্ধার কবিয়া তিনি কি ঠিক তদ্রুপ কৃপা কবিয়াছিলেন ? জগাই মাধাই মহাপাপ হইতে বিমুক্ত হইলেন বটে, কিন্তু অকৈতবা কৃষ্ণপ্রেম তখনও তাঁহাদের দুর্নরিক্ষ্য ছিলেন। . ی প্রভুর এই সকল লীলার তাৎপৰ্য্য বুঝিবার শক্তি আমাদের নাই। তথাপি বুঝিতে ইচ্ছা হয়। আমাদের মনে হয়, প্ৰভু যেন সৰ্ব্বদাই — অধিকারিভেদে ধৰ্ম্মোপদেশ প্ৰদান করিতেন, অধিকারিভেদ-বিচারে দ্বীয় গুণের বিকাশ বা সঙ্কোচ কৱিতেন । এই অধিকারম্ভেদ বিচার অনুমোলিত ও উপেক্ষিত হওয়াতে বর্তমান বৈষ্ণবসমাজে মামুনা অনেক প্রকায়'গ্লনিজনক কাৰ্য্যের প্রভাব দেখিতে পাওয়া যায় । apporty