পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যষ্ট পরিচ্ছেদ । RoS অর্থাৎ যাদৃশ নিয়ম অনুষ্ঠান করিলে স্ব স্ব ভক্তি নিৰ্বাহ হইতে পারে, অর্থজ্ঞব্যক্তি সেই পরিমাণ নিয়মই স্বীকার করিবেন, কারণ নিয়মের অধিক্য বা নূ্যনত ঘটলে পরমার্থভ্ৰষ্ট হইতে হয়। ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে, জপ পূজা প্ৰভৃতি সম্বন্ধে একদিন খুব বেশী ঘটা করিয়া করা হইল, পরদিন হয়ত আর সেরূপ করিতে ইচ্ছা হইল না, অথবা সাংসারিক কোন কাৰ্য্যভারে আর সময় রহিল না। সুতরাং পূর্ব নিয়মের ভঙ্গ করিয়া কোন প্রকারে দায়সার কাজের ন্যায় জপ বা পূজাদি সম্পন্ন করা হইল। এইরূপ নিয়মের ব্যভিচারে নিষ্ঠা বিনষ্ট হয়, চিত্তের দৃঢ়তা থাকে না, ভগবৎ সেবাদির প্রতি অনাদর উপস্থিত হইয়া থাকে। সুতরাং যাহা করিতে হইবে, তাহা নির্দিষ্ট নিয়মে করিতে হইবে। একদিন চিত্তের আবেগে সহস্রাবার জপ করিলাম, আর একদিন অষ্টোত্তর শতবার জপ করারও হয়ত সময় হইল না, এরূপ অনিয়ম অশাস্ত্রীয় ও ভজনের প্রতিকুল। যে পরিমাণ নিয়ম করিতে হইবে, প্ৰতিদিন একাগ্ৰভাবে ঠিক সেই নিয়ম প্রতিপালন করিতে হইবে। ইহাতে চিত্তের একাগ্রতা ও দৃঢ়তা বদ্ধিত হয়, ভক্তি-অনুষ্ঠানের সম্মান সংরক্ষিত হয়। ভজনাদর্শ দাস গোস্বামী মহোদয়ের নিয়মের কথা স্মরণ করুন “রঘুনাথের নিয়ম যেন পাষাণের রেখা।” । ব্ৰহ্ম হরিদাস, বৃদ্ধ হইয়াও সংখ্যাজপের নূনতা করেন নাই। তাদৃশ সিদ্ধ পুরুষও শাস্ত্রীয় নিয়মের বাধ্য ছিলেন। এমন কি যিনি সৰ্ব্ব নিয়মের নিয়ন্তী, ব্ৰহ্ম হরিদাসের সেই পূৰ্ণব্ৰহ্মাসনাতন শ্ৰীগৌর ভগবান তাঁহাকে সংখ্যাজপ নূ্যন করিবার রূপানুমতি করিলেন, কিন্তু তথাপি তিনি নিয়মত্ৰই হয়েন নাই। সুতরাং যে নিয়ম করিতে হইবে তাহা প্ৰাণপণে রক্ষা করিতে হইবে, ইহাই শাস্ত্রের বিধান। শরীরের অনুরোধৈ বা সংসারের অনুরোধে কিংবা সুবিধা অসুবিধার অনুরোধে ভক্তি-অঙ্গের নিয়ম ভঙ্গ করিলে इक्ठ नई श्र, उडित्र अडि अनांशत्र कब्र। श्, देशप्ड निछे दिन रुद।