পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । পরিচয় । শ্ৰীল রায় রামানন্দ শ্ৰীচৈতন্যচরিতামৃতে রাজা ও মহারাজ প্রভৃতি বলিয়া অভিহিত হইয়াছেন। যেরূপ সাজসজ্জায় ও আড়ম্বরে তিনি গোদাবরী তািট স্নানার্থ আগমন করিতেন, তাহাতে তিনি যে রাজা বা মহারাজ ছিলেন এইরূপই মনে করা যাইতে পারে। ফলতঃ উড়িষ্যার রাজা শ্ৰীল প্ৰতাপরুদ্র তখন সম্রাটের ন্যায় প্রতাপান্বিত ছিলেন। রামরায় এই প্ৰতাপরুদ্রের মন্ত্রী ছিলেন। রায় রামানন্দ শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথািবল্লভ নাটকে রাজাধিরাজ প্ৰতাপরুদ্রের যে ঐতিহাসিক প্ৰতাপের কীৰ্ত্তন করিয়াছেন, এ বিষয়ে তাহ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ প্ৰমাণ আর কি হইতে পারে ? প্ৰতাপরুদ্রের প্ৰবল প্ৰতাপের কথা শুনিয়া সুবিখ্যাত যবনকুলধুৱন্ধর সেকেন্দর সাহ ভীতচিত্তে পলায়ন করিয়াছিলন, কলবৰ্গ নৃপতি সৰ্ব্বদাই ইহার নামে সশঙ্ক থাকিতেন, গুর্জর দেশীয় ভূপতি ইহার ভয়ে নিজের নগরীকে জীৰ্ণ অরণ্যের ন্যায় বোধ করিতেন এবং গৌড়দেশীয় ভূপতি আপনাকে প্ৰবল বাতাবেগে পীড়িত সমুদ্রস্থ ঘূর্ণিত পোতের ন্যায় মনে করিতেন। ইহার কীৰ্ত্তিরাশি কৈলাস শৈলের ক্লাম্ববৃহরূপ, হিমালয়ের নির্ধাসস্বরূপ, ক্ষীরবারিধির ফেনস্বরূপ, শারদ বারিদের সারসদৃশ এবং সুব্রতরঙ্গিণীর নীরের ন্যায় প্রভাবশীল হইয়া জগৎ নিৰ্ম্মল করিত। ইনি পুণ্যকৰ্ম্মে ও দানে ধ্যানে অনুক্ষণ দেবতাদিগকেও বশীভূত করিয়া রাখিতেন। বিপক্ষরাজগণের কালাগ্নিরুদ্রস্বরূপ রাজাধিরাজ প্ৰতাপরুদ্রের মনোরঞ্জনার্থই রায় রামানন্দ জগন্নাথািবল্লভ নাটক রচনা করেন •

  • “যন্নামাপি নিশম্য সন্নিবেশিতঃ সেকেন্দয়ঃ কান্দৱস্থা স্বয়বৰ্গং কলেবৰ্গ ভূমিতিলকঃ সাম্রং সমুখীক্ষাতে ।