পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ror শ্ৰী রায় রামাননা। তাহাদের চিত্ত যেন ভারাক্রান্ত না হয় এ বিষয়ে তাহাদিগকে সাবধান হইতে হইবে যথা পাদ্মে :- শোক মৰ্যাদিভি ভঁবৈরাক্রান্তং যন্ত মানসম। কথং তত্ৰ মুকুন্দন্ত ফুৰ্ত্তিসম্ভাবনা ভবেৎ৷ অর্থাৎ যাহার হৃদয়ে শোক ও ক্ৰোধে পরিপূর্ণ তথায় কিরূপে মুকুন্দের দুৰ্ত্তির সম্ভাবনা হইতে পারে ? মাধুৰ্য্যের আনন্দঘনবিগ্ৰহ শ্ৰীকৃষ্ণকে হৃদয়-সিংহাসনের সম্রাট করিতে হইলে সাধককে সর্ব প্ৰথমে হৃদয়কে শোক ও ক্রোধাদি হইতে বিমুক্ত করিতে সচেষ্ট হইতে হইবে। ( ৭ )। অন্যদেবের প্রতি অনবজ্ঞা-জনসাধারণের বিশ্বাস, বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম এক বিষ্ণু ব্যতীত অপর দেবতার প্রতি বিরোধী । এ বিশ্বাস আতি ভুল। তবে ব্যক্তিবিশেষের অজ্ঞাতজনক অসদাচরণের নিমিত্ত জনসাধারণের হৃদয়ে এইরূপ কুসংস্কার জন্মিতে পারে । কিন্তু অন্য দেবের পতি অসম্মান করিতে হইবে বা অবজ্ঞা প্ৰদৰ্শন করিতে হইবে, শিব, কালী দুৰ্গা প্ৰভৃতি দেব দেবীর নিকট প্রণত হইতে হইবে না, সেই সকল শ্ৰীমূৰ্ত্তি দেখিয়া ঘাড় বাকাইয়া চলিয়া যাইতে হইবে, ইহা বৈষ্ণবের পক্ষে ধৰ্ম্ম তো নহোঁই, প্ৰত্যুত ঘোরতর অধৰ্ম্ম। বৈষ্ণব শাস্ত্রের বহুস্থলে এইরূপ অসদাচরণের বিরুদ্ধে উপদেশ প্রদত্ত হইয়াছে। বৈষ্ণবের শ্ৰীভগবান ভক্তির পুষ্টিসাধন ব্যতীত ভক্তিব হানি করার উপদেশ করেন না। বৈষ্ণবের নিত্য আরাধ্য শ্ৰীমদ্ভাগবতে শিবাদি দেবতার প্রতি সন্মানপ্রদর্শনের বিধি রহিয়াছে। শিব চতুর্দশী ব্ৰতোপবাস বৈষ্ণবের কৰ্ত্তব্য বলিয়া ব্যবস্থিত হইয়াছে। পদ্মপুরাণের বচন উদ্ধত করিয়া বৈষ্ণবের জগৎপূজ্য মহাচাৰ্য শ্ৰীপাদ শ্ৰীৰূপ গোস্বামিমহাশয় বলিতেছেন হরিদ্রেব সদারাধ্য সৰ্ব্বদেবেশ্বরেশ্বর । , ইতরে ব্ৰহ্ম রুদ্রাপ্ত না বজ্ঞেয়াঃ কদাচন |