পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । R? N ) প্ৰত্যেকটীর প্রতি তীব্র দৃষ্টি রাখিয়া চলিতে হইবে এবং তৎসম্বন্ধে সদশুরুর নিকট যথাশাস্ত্ৰ উপদেশ গ্ৰহণ করিতে হইবে । ·* বৈধীভক্তির বিস্তৃত আলোচনায় কোন কোন পাঠক মনে কবিতে পারেন। আমরা অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের আলোচনা করিতেছি । কিন্তু র্যাহারা বৈষ্ণব দর্শনের মৰ্ম্মস্তলদশী, র্যাহারা বৈষ্ণব ভজন-তত্ত্বের শিক্ষাগুরু, তাহারা ধৰ্ম্মজীবনের ক্রমবিকাশের যে সকল নিয়ম ও প্ৰণালী কৃপা করিয়া লিখিয়া গিয়াছেন, আমাদের হ্যায় বিষয়ী প্ৰথম অধিকারীর জন্য অবশ্যই সেই সকল নিয়ম অনুসরণীয়, নচেৎ হৃদয়ে ভগবত্তত্বের ক্ষুৰ্ত্তিসম্ভাবনা নাই ; রাগানুগ ভক্তিলাভতো দূরের কথা । ধৰ্ম্মধ্বজিত্ব বা আত্মপ্রতারণায় লোকের চিত্ত ভজনের অযোগ্য হইয়া পড়ে। প্ৰতিদিন এক একবার আত্মচিত্ত পরীক্ষা করিয়া দেখা একান্ত কৰ্ত্তব্য যে, সেই গোলকের ধন শ্ৰীশ্ৰী রাধাকৃষ্ণের শ্ৰীচরণকমলের ধ্যান-ধারণায় চিত্ত । সুপটু হইল। কিনা, তাহাদের লীলা-রস-সিন্ধুর বিন্দুমাত্র আস্বাদন করার জন্য হৃদয় প্রস্তুত হইল। কিনা, শ্ৰীকৃষ্ণ-স্মরণের জন্য চিত্তভূমি প্ৰস্তুত হইল। কিনা ? ক্ষেত্রে বীজাণুরোদগমের জন্য যেমন যত্নের সহিত কর্ষণের আবশ্যক, তেমনি জলদমালার পললধারাও প্রয়োজনীয়। সাধকের পক্ষেও এই বীতি। সাধককে যেমন বৈধীভক্তি দ্বারা সুন্দরীরূপে চিত্তভূমি কর্ষণ করিতে হইবে, আবার তেমনি শুম-জলদের কৃপা-পলাল-বর্ষণের জন্যও প্ৰতীক্ষা করিতে হইবে ; নচেৎ প্ৰেম-বীজাকুরের সম্ভাবনা অতি বিরল। বীজ বপন করিয়া দিয়াও কৃষককে অনুক্ষণ সাবধান থাকিতে হয় । ক্ষেত্রে অপর উদ্ভিদ প্রভাব না পায়, কীটকুলের সমাগমে অন্ধুর বিনষ্ট না হইতে । পারে। এজন্য কুম্বকুকে সৰ্ব্বদাই সতর্কত গ্ৰহণ করিতে হয়। প্রেমলাভাষী সাধকগণের সাধন ইহা অপেক্ষা সহজতর বলিয়া মনে করা অসঙ্গত। সহজিয়াগণ সহজে হরিভক্তি লাভ করিতে চাহেন, কিন্তু শাস্ত্রকার বলেন :-)