পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । 炭总@ দেশ কেন প্রদত্ত হইল ? বৈষ্ণবধৰ্ম্ম নিৰ্ম্মৎসর সাধুগণের ধৰ্ম্ম। অসহিষ্ণুতা ও ক্ৰোধ কেরজোগুণোদ্ভব। সাত্বিকধৰ্ম্মে এতাদৃশ রজোগুণের প্রশ্ৰয় দেওয়া হইল কেন ? একটুকু চিন্তা করিলেই ইহার কারণ বুঝা যাইতে পারে। ইতঃপূর্বেই আমরা উপদেশ পাইয়াছি, কায়মনোবাক্যে কোন প্ৰাণীরই উদ্বেগ করা অকৰ্ত্তব্য। বিশেষতঃ বৈষ্ণবকে তৃণাদপি সুনীচ হইতে হইবে। একটী তৃণেরও একপ্ৰান্ত পদাহিত হইলে অপর প্রান্ত উদ্ধত হইয়া উঠে, কিন্তু বৈষ্ণবকে তৃণাপেক্ষাও নিরাভিমান হইতে হইবে, বৈষ্ণব পদদলিত হইলেও মাথা তুলিবেন না। ইহাই শাস্ত্রের অভিপ্ৰায়। কিন্তু এই উপদেশ বৈষ্ণবের নিজ সম্বন্ধে । যদি তাহার সমক্ষে কৃষ্ণনিন্দ বা তদ্ভূক্ত নিন্দা হয় তখন এই মৃদুতাকে বািজতেজে পরিণত করিতে হইবে, কর্ণরুদ্ধ করিয়া, কথাগুলি নিতান্ত অশ্রাব্য মনে করিয়া তৎক্ষণাৎ সে স্থান ত্যাগ করিয়া চলিয়া যাইতে হইবে । উপাস্যদেবের বা তৎপ্রিয়জনের নিন্দ শুনিয়া যদি অসহিষ্ণুতা না জন্মিল, তবে তঁহার বা তদীয় জনগণের প্ৰতি কাহারও যে প্রীতি আছে, তাহার পরিচয় কি ? তদ্ব্যতীত নিন্দকসংসর্গে শ্ৰীভগবক্লিন্দা শুনিতে শুনিতে ভক্তি তো দূরের কথা,-সামান্য শ্রদ্ধারা পৰ্যন্ত হানি হইতে থাকে। এইরূপে সাধকের আরাধ্য বস্তু ক্রমেই তাহার হৃদয় হইতে সরিয়া পড়েন । সুতরাং এ সম্বন্ধে সবিশেষ সাবধানত একান্ত প্ৰয়োজনীয়। তাই, পরমকারুণিক শাস্ত্রকারগণ এই সম্বন্ধে এইরূপ কঠোর আদেশ দিয়া সাধকগণকে সাবধান করিয়া দিয়াছেন। ব্যক্তিবিশেষের মনে এইরূপ উপদেশ “গোড়ামি” বলিয়া বিবেচিত হইতে পারে, কিন্তু যাহারা নিষ্ঠাবান, উপাস্তদেবতা বা তঁহার আপনজনগণ যাঁহাদের অতিপ্রিয়, তাদৃশ সাধকগণের চিত্ত প্রিয়জনগণের নিন্দা শ্রবণ করিয়া অবিচলিত থাকিতে পারেন না, ইহা স্বভূবসিদ্ধ। তবে সমাধিমগ্ন আত্মেশ্বর যোগীদের কথা স্বতন্ত্র। কেননা তঁহাদের নিকট জাগতিক ܂ ܕ 7.