পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যষ্ঠ পরিচ্ছেদ । R&Y দেহনিবেদনের উদাহরণ যথা ভক্তিবিবেকে :- চিন্তাং কুৰ্য্যান্নরক্ষায়ৈ বিক্রীতন্ত যথা পশোঃ । তথার্পয়ন হরেী দেহং বিরমেদস্তরক্ষণাৎ ॥ অর্থাৎ পশু বিক্রীত হইলে উহার রক্ষার নিমিত্ত যেমন তৎপ্ৰতিপালকের আর কোনও চিন্তা থাকে না, সেই প্ৰকার শ্ৰীহরিকে দেহ নিবেদন করিয়া ইহার রক্ষণের জন্য প্ৰযত্ন হইতে প্ৰতিনিবৃত্ত হইতে হইবে । শ্ৰীমদ্ভাগবতের নবধাভক্তিসূচক শ্লোকের আত্মনিবেদন শব্দের ব্যাখ্যায় শ্ৰীধঝুম্বামি মহােদয়ও ঠিক এই কথাই বলিয়াছেন, তদযথা “যথা বিক্রীতস্ত গবাশ্বাদে ভঁরণং পালনাদি চিন্তা ন ক্রিয়তে, তথা দেহং তস্মৈ সমর্প্য তচিন্তাবজ্জনমিত্যৰ্থঃ ” পূজ্যপাদ ক্ৰমসন্দর্ভকার লিখিয়াছেন-আত্মনিবেদনের কাৰ্য আত্মার্থ চেষ্টাশূন্যত্ব। অর্থাৎ নিজের দেহগোহাদি সংরক্ষণের সমস্ত চিন্তা পরিবর্জন করিয়া শ্ৰীভগবানের নিমিত্ত অখিল চেষ্টাময়ত্বই আত্মনিবেদনের কাৰ্য্য । এই আত্মাৰ্পণ,-গো-বিক্রয়াসদৃশ । গো-স্বামী যতদিন নিজকে গোর অধিকারী বলিয়া মনে করে, ততদিন পৰ্য্যন্ত তাহাকে উহার ভরণ পোষণ ও DBiYuBD YY DS DBBBD DDDSDDD DBB B DDBB BDD DDD বিক্রয় করে, তখন আর উহার নিমিত্ত গো-বিক্রেতার কোনও চিন্তা थांक न । এইরূপ যতদিন মানুষ দেহকে “আমায়া” বলিয়া মনে কয়েন, ততদিন । এই আমিত্বাভিমানের ফলে তঁহাকে দেহের ভরণপোষণের জন্য ব্যক্তিব্যস্ত হইতে হয়। কিন্তু মানুষ যদি কোটি জন্মেয় সৌভাগ্যের ফলে শ্ৰীকৃষ্ণৰ । চরণে আত্মসমৰ্পণ করিতে পারেন, তখন তঁাহার চিন্তু নিখিল-আত্মচিন্তাবিবর্জিত হইয়ঃ শ্ৰীকৃষ্ণাচরণে আসক্ত হইয়া পড়ে।