পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/২৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१२ वैब्रांब ब्रभानन । একবার রুচি জন্মিয়াছে, তাহাঙ্গের কি আর বিষয়ে রুচি থাকিতে পারে ? পূজ্যপাদ শ্ৰীৰূপ লিখিয়াছেন :- , বিষয়েষ্ণু গরিষ্ঠোহপি রাগঃ প্ৰায়ো বিলীয়তে ॥ অর্থাৎ শ্ৰীকৃষ্ণ-ভজনে র্যাহার রুচি জন্মিয়াছে, বিষয়ে তাহার গরিষ্ঠ রাগ থাকিলেও ভজন-প্রভাবে উহা তিরোহিত হইয়া যায়। সুতরাং স্বভাবতই বৈরাগ্যের উদয় হয় । শ্ৰীমদ্ভাগবত বলেন :- বাসুদেবে ভগবতি ভক্তিযোগঃ প্ৰযোজিতঃ । জনয়ন্ত্যাশু বৈরাগ্যং জ্ঞানঞ্চ যদহৈতুকম | শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু শ্ৰীমদ রঘুনাথ দাস গোস্বামি মহোদয়কে লক্ষ্য করিয়া এ বিষয়ে প্ৰথম যে উপদেশ প্ৰদান করেন, তাহা আমাদের স্মরণ রাখা কৰ্ত্তব্য । সে উপদেশ এই যে না কর মৰ্কট বৈরাগ্য লোক দেখাইয়া । যথাযোগ্য বিষয় ভুঞ্জ অনাসক্ত হৈয়া ॥ অন্তরেতে নিষ্ঠা কর, বাহে লোকাচার । অচিরাতে কৃষ্ণ তোমার করিবেন। উদ্ধার ৷ এই উপদেশের সারা গ্ৰহণ, করিয়াই যেন শ্ৰীপাদ শ্ৰীৱৰূপ গোস্বামিমহােদয় লিথিয়াছেন :- অনাসক্তস্য বিষয়ান যথাৰ্হমুপযুঞ্জতঃ। নিৰ্ব্বন্ধঃ কৃষ্ণসম্বন্ধে যুক্তং বৈরাগ্যমুচ্যতে। অর্থাৎ অনাসক্ত হইয়া যাহারা বিহিত বিষয়ভোগ করেন, তাদৃশ ব্যক্তিদের শ্ৰীকৃষ্ণ সম্বন্ধীয় আগ্রহই যুক্তবৈরাগ্য নামে অভিহিত। আর এক প্রকার ও বৈরাগ্য আছে, তাহা ফন্তু বৈরাগ্য নামে অভিচিত। শ্ৰীকৃষ্ণের প্রসাদ, প্রসাদী মালা, চরণামৃত প্রভৃতিও কোন কোন মুমুকু ব্যক্তি প্ৰাকৃত পদার্থ মনে করিয়া পরিত্যাগ করেন; ইহাই ফন্তু