পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩১৪

R? चैबां ब्रामांनन् । মানব আত্মার প্রধানতম লক্ষ্য-শ্ৰীকৃষ্ণভজন। শ্ৰীকৃষ্ণভজনের প্ৰধানতম সাধন,-রাগিানুগা ভক্তিতে সখীর অনুগা হইয়া শ্ৰীকৃষ্ণসেবা { তাহা হইলেই প্ৰতিপন্ন হইতেছে যে মানব আত্মার পূর্ণ পরিণতি, নারীভাব-সখীভাব। পাশ্চাত্য বিজ্ঞান দ্বারাও এই সত্য দৃঢ়ীকৃত চাইতেছে । বৈষ্ণবসিদ্ধ পুরুষগণ এই মহাসত্যই জগতে প্ৰকটন করিয়াছেন। কোথায় অকৈতবা কৃষ্ণ-প্ৰেম, আর কোথায় এই নীচ নীচাচার হীনমতি ক্ষীণশক্তি, ক্ষুদ্রাধম লেখক । আমি মায়ার ক্রীতদাস। আমার *NRS sta (consciousness) fằ803 sfeẹ5, সখী ও ভজন-শিক্ষা । يحملاً —ইদম্ব ত্তির পূর্ণতম লীলাস্থলী। দিবানিশি জাগতিক পদার্থ-ভজ্ঞানের তরঙ্গাভিঘাতে আমার মস্তিষ্ক বিভোর ও প্ৰমত্ত । এই প্ৰাকৃত রাজ্যের অন্ধকারময় কারাগৃহে আমার মন দিবানিশি অবরুদ্ধ । আমি পূর্ণরূপে মায়াবদ্ধ। আমার জ্ঞান সম্পূর্ণরূপে প্ৰাপঞ্চিক ও মায়াহত । কিন্তু “যাহা কৃষ্ণ তাহা নাহি মায়ার অধিকার,” শ্ৰীসচ্চিদানন্দবিগ্ৰহ আমার ধারণার অতীত, আনন্দচিন্ময়ারসপ্ৰতিভাবিত। সখীগণের প্রেম প্রোজ্জলমূৰ্ত্তি এবং আনন্দ চিন্ময়ারস মাদৃশ মহাপাপীর পক্ষে একবাবেই অনধিগম্য, সুতরাং কুঞ্জ-সেবার সাধন বুঝিবার অধিকার আমার নাই । এই অবস্থায় সিদ্ধগণের সেব্য বিষয়ে কোন কথা বলিতে প্ৰবৃত্ত স্থত ওয়া প্রকৃতই অতিবড় ধৃষ্টতার কাৰ্য্য । যাহা নিজে বুঝিতে পারি না, তাক অপরকে বুঝাইতে প্ৰবৃত্ত হইব, কৃপাময় পাঠকগণ যেন এ অধম লেখককে এরূপ দুঃসাহসী বলিয়া মনে না করেন। সপার্ষদ শ্ৰীগৌরচরণ-চিন্তা করিয়া শ্ৰীল রামর্যায়ের কৃপাউপদেশের আমি যেরূপ অর্থ করিতে প্ৰয়াস পাইতেছি এখানে কেবল তাহাই প্ৰকাশ করা যাইতেছে। সুবিজ্ঞ ভজন-নিষ্ঠ পূজ্যপায় ভক্তগণ এ বিষয়ে এ কৃপাৰ্থ ব্যক্তির কথাগুলি সংশোধন কন্ধিয়া দিলে চিরজীবন