পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । \beta3= } হইয়াছে। শ্ৰীল রায় মহাশয় বলিতেছেন “প্ৰভো ! সখীদের প্রেমের মহিমা শুনুন, দ্বীয় সুখ কাহাকে বলে সখীরা তাহ জানেন না,” শ্ৰী রাধামাধবের লীলাবিহারের রসপুষ্টি করিয়া দেওয়াই তেঁহাদের সুখ। শ্ৰীমতী মানিনী’ হইলেন, সখীরা মান-প্ৰশমনের উপায় করিতে লাগিলেন, পদপতিত নাগররাজের পক্ষাপ্ৰয় করিয়া শ্ৰীমতীকে কত ভৎসনা করিতে লাগিলেন । আবার শ্যামবিরহে রাই পাগলিনী প্রায় হইলেন, এমন কি তাহার অস্তিমদশা উপস্থিত হইল, সখীরা তঁহার কর্ণে কৃষ্ণনাম জপ করিতে লাগিলেন । শ্ৰী রাধার চেতনা হইল, তিনি পাগলিনীর মত ইতিউতি চাহিতে লাগিলেন। সখীরা তঁহাকে সাজাইতে বসিলেন, কিন্তু শুষ্ঠামের অভিসারে শুষ্ঠামোন্মাদিনী শ্ৰীমতী উন্মাদিনীর মত ছুটয় চলিলেন, সখীরা তাহার সঙ্গে সঙ্গে দৌড়িলেন, শ্ৰীমতী তখন জ্ঞানহার। পাছে ব্রজের পথে কাটায় । কঁাকরে শ্ৰীমতীর কুসুমকোমল চরণ দুখানি ক্ষতবিক্ষত হইয়া যায়, সখীৱ । সেই ভয়ে অস্থির । কুঞ্জবনে রাধাশুষ্ঠামের মিলন হইল, সখীদের আর আনন্দের সীমা নাই, তাহারা নানাপ্রকারে কুঞ্জ-সেবায় প্রবৃত্ত হইলেন, নানাপ্রকারে রাসাবতী রসরাজের রসসেবাসুখে নিমগ্ন হইলেন । এই সেবাতেই তাহদের পরম সুখ ও চরম তৃপ্তি। তঁহারা আর কিছু চাহেন না। তাহারা কেবল চাহেন—“আমরা যেন এই যুগল রূপ জীবন ভরে হেরি ” এমন নিষ্কাম নিঃস্বাৰ্থ মধুর সেবা কে কবে করিয়াছে ? সখীর স্বভাব সম্বন্ধে শ্ৰীচরিতামৃত বলেন সখীর স্বভাব এক অকথ্য কথন। কৃষ্ণসহ নিজ লীলায় সখীর নাহি মন ॥ কৃষ্ণসহ রাধিকার লীলা যে করায়। সখীগণ হয় জারী পািৰ গুপ্তপাত ।