পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিজ সেক হইতে পল্লবাস্থ্যের কোটী সুখ হয় ৷ এস্থলে শ্ৰীগোৱিন্দ লীলামৃতের একটী শ্লোক উদ্ভূত হইতেছে তদযথা সখ্যঃ শ্ৰীরাধিকায়া ব্ৰজকুমুদীবিধোহলদিনী নামশক্তেঃ * সারাংশপ্ৰেমবল্ল্যাং কিশলয়দলপুষ্পাদিতুল্যাঃ স্বতুল্যাঃ । সিক্তায়াং কৃষ্ণলীলামৃতরাসনিচয়ৈরুল্লাসন্ত্যা মামুন্যাং জতোল্লাসাঃ স্বাসেঞ্চাৎ শতগুণমধিকং সন্তি যত্তন্ন চিত্ৰম্ ॥ অর্থাৎ সখীগণ ব্ৰজকুমুদ্ৰবিধু শ্ৰীকৃষ্ণের হলাদিনী শক্তির সার প্ৰেমরূপিণী শ্ৰী রাধালতিকার কিশলয়পত্র এবং পুস্পাদি সদৃশ। তঁহারাও তৎতুল্য। কৃষ্ণলীলামৃতরস দ্বারা স্বয়ং লতা পরিসিক্ত ও উল্লাসযুক্ত হইলে পত্রপুস্পাদিতুল্য সখীগণের যে স্বীয় সেক অপেক্ষা শতগুণে অধিক উন্ন্যাস উপজাত হয়, ইহাতে আর বৈচিত্ৰ্য কি ? তাই শ্ৰীচরিতামৃত বলেন :- নিজ প্ৰিয় সুখবাঞ্জা নাহি গোপিকার । কৃষ্ণে সুখ দিতে কয়ে সঙ্গম-বিহার ॥ মানুষের জ্ঞান আছে, সে জ্ঞান অনিত্য, সীমাবদ্ধ ও বিষয়দুষ্ট । ভগবানের জ্ঞান অসীম, অনন্ত, অপাপবিদ্ধ, বিশুদ্ধ ও শাশ্বত । মানুষের এক প্ৰকার প্ৰেম আছে, তাহা প্ৰকৃত প্ৰেম নহে, এমন কি বিশুদ্ধ প্ৰকৃত প্রেমের আভাসও নহে, উহা কামেরই নামান্তর। ঘুরাইয়া ফিরাইয়া দেখিলে দেখা যাইবে যে উহা কাম ভিন্ন আর কিছুই নহে, কিন্তু যিনি । অনন্ত জগতের অধীশ্বর যিনি সৰ্ব্বকারণের কারণ, যিনি সকল জ্ঞানের জ্ঞান, যিনি নিখিল প্রেমের প্ৰেম, তাহার প্রেমলীলা যে কি চমৎকার ব্যাপার, আঁহার প্রেমলীলার সহায়স্বরূপিণী তাঁহার স্বীয় স্বরূপশক্তিরূপিণী প্ৰেমময়ীদের প্ৰেমসেবা-পারিপাট্য কেমন অদ্ভুক্ত ও নিষ্কাষ, তাহা ব্ৰজসাধনায় সিদ্ধগণেরই অনুভবনীয়। কেননা এই সখীরাই তাহদের প্ৰেমসেবার শিক্ষাগুরু । ki ,