পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৩৬

<eris , वैशांव्र बांबांननः । এই মত দেখি তোমা হয়। চমৎকার । অকপটে কহ প্ৰভু কারণ ইহার ॥ ইহাতে জানা যাইতেছে শ্ৰীল রামরায় শ্ৰীগৌরাঙ্গ দর্শন মাত্রেই বুঝিয়াছিলেন ইনি সাক্ষাৎ পরমব্ৰহ্মা ! কিন্তু প্ৰভু সন্ন্যাসি-ছলনায় তাহাকে দর্শন দান করিয়াছেন, তাই তিনি এখানে “অকপট"শব্দের উল্লেখ করিয়াছোন ৰ প্ৰভু ইহাতেও প্রকৃত কথা না বলিয়া বাগভঙ্গীতে বলিলেন :- –Hos CSRF Sp CON ER t প্রেমের স্বভাব এই জানিহ নিশ্চয় ॥ মহাভাগবত দেখে স্থাবর জঙ্গম । র্তাহ তাহা হয় তার শ্ৰীকৃষ্ণ ক্ষুৱণ ॥ স্থাবর জঙ্গম দেখে, না দেখে তার মূৰ্ত্তি । সৰ্ব্বত্র হয় নিজ ইষ্টদেব-স্ফূৰ্ত্তি ৷ রাধাকৃষ্ণে তোমার মহাপ্রেমা হয় । যাহা তঁহা রাধাকৃষ্ণ তোমারে ক্ষুব্ধয় ॥ চতুর চূড়ামণি তৎক্ষণাৎ অপূৰ্ব্ব বাগবৈদগ্ধীতে শ্ৰীল রামরায়কে অন্যরূপে বুৰাইতে চেষ্টা করিলেন। প্ৰভু বলিলেন, শ্ৰীশ্ৰীীরাধাকৃষ্ণে তোমার গাঢ় প্ৰেম । গাঢ় প্রেমের এমনই স্বভাব যে ইহার বলে প্রেমিক সর্বত্র আপনার প্রিয়জনকেই দেখিতে পায়। মহাভাগবতগণ এই বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের যেখানেই দৃকপাত করেন, সেই স্থানেই তঁাহারা শ্ৰীকৃষ্ণ ভিন্ন অন্য কিছু দেখিতে পান না । তাহদের সম্মুখে এই বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড বিরাজমান থাকিলেও প্রেমেয় দিব্য চক্ষের বলে তঁাহারা সমগ্ৰ বিশ্বে কেবল শ্ৰীভগবানের মধুর মূৰ্ত্তিই "প্ৰত্যক্ষ করিয়া থাকেন। তাঁহাদের ভেদ-সৃষ্টি তিরোহিত হইরা যায়। জ্ঞানীরা যেমন “সৰ্ব্বং খবিদং ব্ৰহ্ম” বুলিয়া নিশ্চয় করেন, সেইরূপ ভাগবত্ত পরমহংসগণের নিকট সৰ্ব্বদাই প্রস্ত্রীরাধাকৃষ্ণের শ্ৰীমূর্ডি